স্কুলে পাঠদান করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট - দৈনিকশিক্ষা

স্কুলে পাঠদান করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

এক বছরে বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষও জীবনের অনেক ক্ষেত্রে ক্রমাগত পরিবর্তিত ও অগ্রসর এ প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছে। শিগগিরই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে যাচ্ছে এআই। এ নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এআই চ্যাটবট শিগগিরই শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে ও শেখার নতুন উপায় চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে।

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের বরাত দিয়ে টেকরাডারের খবরে বলা হয়, এআই চ্যাটবটগুলো ১৮ মাসের মধ্যে শিশুদের পড়া শেখাতে সাহায্য করবে। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের এ ধরনের বক্তব্য অভিভাবকসহ সবাইকে ভাবাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তরুণদের জন্য এআই কী করতে পারে সেটি ভাবতে বাধ্য করছে।

এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি ডিজিটাল মঞ্চে আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে এটি অনিবার্য হয়ে উঠেছে যে তরুণরা প্রযুক্তি ব্যবহার ও নেভিগেট করতে শিখবে। এজন্য নিরাপদ, নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার পরিবেশে এটি বাস্তবায়ন করার ধারণা নেহাত মন্দ নয়।

অবশ্যই, উন্নত এআই টুলসগুলো শ্রেণীকক্ষে অন্তর্ভুক্ত করার ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণা বা তথ্য জালিয়াতির সম্ভাবনা বেড়েছে। এরই মধ্যে উচ্চশিক্ষায় চ্যাটজিপিটির লিখিত কাজের বহু ঘটনা রয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যাঘাত তৈরি করেছে।

কেমন হতে পারে এআই শিক্ষা?

অনেক শিক্ষার্থী তাদের হোমওয়ার্কের ক্ষেত্রে কম-বেশি চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করছে। এতে একটি বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে, চ্যাটবটগুলো অবিশ্বাস্যভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। এআই টুলসগুলো কাজের প্রুফরিডিং করতে পারে, দীর্ঘ ও বিরক্তিকর টেক্সটের সারাংশ তৈরি করতে পারে বা জটিল বিষয়গুলোকে সহজ করতে পারে।

লেখার বিষয়ে মতামত দেয়ার পাশাপাশি বিভ্রান্তিকর অর্থ থেকে মুক্তি দিতে চ্যাটবটগুলো সৃজনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে। অনেকেই অবসর সময়ে সৃজনশীল লেখক হিসেবে ছোটগল্প রচনা করতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন। পছন্দের বিষয় নিয়ে গবেষণা করতেও চ্যাটজিপিটির ব্যবহার স্বাচ্ছন্দ্যকর। গবেষণার লিংক ও অন্যান্য বিষয়বস্তু খুঁজে বের করতে সহায়তা করে। লেখার সঙ্গে কোনো লেখা মিলে যায় কিনা সেটিও স্থান, ব্যক্তিসহ বিস্তর তথ্য খুঁজে বের করে দেয়। 

অ্যাক্রেডিবলের সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ড্যানি কিংয়ের মতে, একটি ডিজিটাল প্রমাণীকরণ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে চ্যাটজিপিটি। যেসব শিক্ষার্থীর প্রয়োজন অনুসারে ব্যক্তিগতভাবে শেখার সুযোগ নেই, তাদের চাহিদা পূরণে চ্যাটজিপিটি শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে। এখানেই এআইর ভূমিকা থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘পুনরাবৃত্তিমূলক রুটিন বা শেখার পরিকল্পনাগুলো সরিয়ে এবং পরিবর্তে শিশুদের আরো কিছুটা স্বাধীনতা নিয়ে শেখার অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে শূন্যস্থানটি এআই পূরণ করতে পারে। অনেক রুটিনপাঠ্য সরিয়ে ও প্রযুক্তিনির্ভর খাতে এটি হস্তান্তর করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের জ্ঞানের বিতরণকারী হতে হবে না। কেননা এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এটি করতে পারে।’ শ্রেণীকক্ষে এআইর কিছু প্রকৃত সুবিধা আছে, যা আমরা আশা করতে পারি। চ্যাটবটগুলো ক্রমেই আরো পরিশীলিত হয়ে উঠছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি ছোট শিক্ষার্থীদের স্কুলের ল্যাপটপে তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত চ্যাটবট আছে। এগুলো শিক্ষকদের ওপর প্রশ্নের ভার কমাতে সাহায্য করে।

যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার - dainik shiksha কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত - dainik shiksha উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে - dainik shiksha ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের - dainik shiksha জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029270648956299