টাঙ্গাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) এই কাজ শুরু হয়। এই বিদ্যালয়ে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে ছিল অনেক আলোচনা-সমালোচনা।
এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে মার্কেট নির্মাণে কোনও আইনগত বাধা নেই। তাই আমরা নির্মাণের কাজ শুরু করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কুদরত ই এলাহী বলেন, মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে আইনের কোন ব্যতয় ঘটেনি। পাইকারি চাউলের মার্কেট ও একাডেমিক ভবনের চার তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য গত ৬ এপ্রিল বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের ২২তম সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় নিয়োগকৃত প্রকৌশলী বিদ্যালয়ের মার্কেটের নকশা তৈরি করেন এবং আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গত ৭ মে প্লান মঞ্জুর করার জন্য টাঙ্গাইল পৌরসভায় জমা দেন।
তিনি বলেন, পৌরসভার আইন ও বিধি মোতাবেক চতুর্থ তলা পর্যন্ত নির্মাণ ফি বাবদ ৮৩,৫৪৪ টাকা টাঙ্গাইল পৌরসভার হিসাবে প্রিমিয়ার ব্যাংকে জমা দেয়া হয় এবং ৪০ নম্বর চালানের মাধ্যমে ১৫% ভ্যাট হিসাবে ১২ সহাজার ৩৮২ টাকা সরকারি কোষাগারে সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইলের প্রধান শাখায় জমা দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, পৌরসভা কতৃপক্ষ সরেজমিনে টাঙ্গাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত নির্মাণ স্থানটি পরিদর্শন করেন। এছাড়া পৌরসভার চাহিদা অনুযায়ী জমা দেওয়া প্লানসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন এবং আইনগত কোন বাধা না থাকায় গত ১৮ জুলাই মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর প্লান সই করেন।
কুদরত ই এলাহী বলেন, স্কুলের বাইরের সীমানায় পাইকারি চালের মার্কেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু কাঁচাবাজার করার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে কেউ কেউ। আমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের ক্ষিপ্ত করে তোলার ষড়যন্ত্র মাত্র।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু পত্রিকায় ও ফেসবুকে যারা এই বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারাই বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধা দিচ্ছেন। এরাই অসৎ উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, এই স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ছাড়া কোনও ধরনের আয়ের উৎস নেই। এখানে সারা বছরের খরচ চালানো কষ্টকর। স্কুলের তহবিল থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। লেখাপড়া ধরে রাখতে গেলে মেয়েদের ফ্রি পড়ার ব্যবস্থা করে থাকি। যাতে ঝরে না পড়ে। এগুলো চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই এই মার্কেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।