সরকারি-বেসরকারি স্কুলে কোনো শিক্ষার্থীর সহোদর বা যমজ শিক্ষার্থী আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকলে সেসব শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই বাছাই করে সহোদর শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির নীতিমালায় বলা হয়েছে। কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তান এ সুযোগ পাবেন। রাজধানী ঢাকার স্কুলগুলোতে এসব প্রার্থীদের ভর্তির আবেদন যাচাই বাছাইয়ে জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের উপকমিটি গঠন করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ উপকমিটিকে সহোদর শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন যাচাই বাছাই করে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, ঢাকা মহানগরী ছাড়া অন্যান্য মহানগরী ও জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত কমিটি সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির আবেদন যাচাই বাছাই করে তাদের ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। একইসঙ্গে সহোদর ভর্তিচ্ছুদের আবেদন কিভাবে যাচাই করে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ উপকমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির তথ্য যাচাই বাছাইয়ের উপকমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষকে। এ উপকমিটির দুই সদস্য পদে স্কুলের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সিনিয়র শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক থাকবেন।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত উপকমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা নীতিমালায় সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে। নীতিমালায় ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই- বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে অভিভাবক ও সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের কোটায় ভর্তিচ্ছুদের ভর্তির বিষয়টি সহজীকরণের লক্ষ্যে শুধুমাত্র সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির জন্যে এ যাচাই-বাছাই উপ-কমিটি গঠন করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, এ উপ-কমিটি ভর্তি নীতিমালা- ২০২২ এর আলোকে ঢাকা মহানগরীর সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির জন্য সুপারিশ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির আবেদন যাচাই-বাছাই নিয়ে উপকমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণিতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছে কিন্তু ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে পারেনি এমন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ওই প্রতিষ্ঠানে আগে থেকে অধ্যয়নরত সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেয়া প্রত্যয়নপত্রে বাবা-মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, অধ্যয়নরত শ্রেণি, শিক্ষার্থীর আইডি নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। আবেদনের সঙ্গে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের সত্যায়িত কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি, পিতা-মাতার জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপির সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। বাবা-মায়ের কাছ থেকে সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের বিষয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা থাকতে হবে। এ সুবিধা কোন দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তালিকা করে ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সভাপতিকে পাঠাতে হবে। সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির বিষয়ে অভিভাবকের দাখিল করা প্রতিটি আবেদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। যাচাই পরবর্তী কোন আবেদন ভর্তির জন্য বিবেচিত না হলে তার উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করে তা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে।
অধিদপ্তর আরও বলেছে, ঢাকা মহানগরী ছাড়া অন্যান্য মহানগরী ও জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত কমিটি সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির আবেদন এসব নির্দেশনার আলোকে যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিক থাকার পরও সহোদর সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন কে ভর্তি করা না হলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টরা দায়ী থাকবেন।
সহোদর বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির বিষয়ে এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে অধিদপ্তর।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।