দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : বাংলাদেশে সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ঘিরে নানা আলোচনা চলছে। সোমবার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদরা বলছেন, সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর খুব একটা অস্তিত্ব নেই। আর যে সব প্রতিষ্ঠানে কমিটি আছে, সেগুলোও খুব একটা কাজ করে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অবশ্য দাবি করেছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটি রয়েছে এবং সেগুলো নিয়মিত তদারকিও করা হয়।
চলতি মাসে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন পুরুষ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের বরখাস্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও করেছেন তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখায়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক অবশ্য যৌন নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতনের এমন ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে একই স্কুলে পরিমল জয়ধর নামে আরেকজন শিক্ষককে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। সেই ঘটনা ওই সময়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
এছাড়া ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে একই স্কুলের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। সে ঘটনায় ওই শিক্ষককে ক্লাস থেকে প্রত্যাহার করা হয়। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।
কমিটি বাধ্যতামূলক?
বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা রয়েছে। এতে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন বিষয়ক সবশেষ নির্দেশনাপত্র দিয়েছে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে।
তখন এতে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও “কিছু অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে এখনো কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি, যা আদালত অবমাননার শামিল।”
ওই নির্দেশনাপত্রে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাউশি-র দেয়া এই নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটির বেশির ভাগ সদস্য হবেন নারী। কমিটির অন্তত দুইজন সদস্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে নিয়োগ করতে হবে।
এই কমিটির ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশ-সহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এই সময় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।
কমিটি ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বাক্স থাকারও নির্দেশনা রয়েছে মাউশির।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সম্পর্কিত একটি কমিটি থাকার কথা রয়েছে। এই কমিটি স্কুল কমিটি থেকে ভিন্ন।
"এই কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া আছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির মতো ঘটনা ঘটলে দুই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। একটি হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। আরেকটি হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।"
“কোনও কিছু আইনি পর্যায়ে চলে গেলে সেটি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া আছে। এরকম একটা মেকানিজম আছে।”
তিনি আরও বলেন, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু নারী শিক্ষার্থী নয়, বরং কোন নারী শিক্ষকও যদি যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হন, তাহলে তিনিও এই কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই কমিটি আছে কি না সেটি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, মাউশির মাঠ পর্যায়ের কিছু কর্মী রয়েছে যাদের কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের কমিটি আছে কি না এবং সেগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা তদারকি করা। তারা এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন মাউশির কাছে জমা দেয় বলে জানান তিনি।
“মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে এ জাতীয় কমিটিগুলো কাজ করছে কি না, অথবা তাদের যে রিপোর্ট আসে, সেই রিপোর্টে এটি থাকে।”
তবে মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদরা অবশ্য বলছেন যে, মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কী ধরনের ব্যবস্থা আছে এবং সেগুলো কাজ করছে কি না তার আসলে কোনও নজরদারি নেই।
‘শিক্ষার্থীরা জানেই না যে কমিটি আছে’
চলতি মাসে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পর এ ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে বলেও তারা গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি নিশ্চিত করেছেন।
এরপর ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত না করে আজিমপুর শাখা থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকার বেইলি রোডের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় তো বটেই মাধ্যমিক এমনকি প্রাইমারি স্কুল পর্যায়েও যৌন হয়রানির খবরও বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে আসে।
মিজ চৌধুরী মনে করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধ না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি হলেও সে সম্পর্কে কোনও অভিযোগ করা হয় না।
দ্বিতীয়ত, সামাজিক কারণে বা হেনস্থা হওয়া বা মানসম্মানের ভয়ে অনেকে অভিযোগ করেন না।
আর তৃতীয়ত, বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় অনেক অভিভাবক আর অভিযোগ করতে এগিয়ে আসেন না। আইনের দ্বারস্থ হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিচার হয়না, অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগই নেয়া হয়না। এ কারণে অভিভাবকের মধ্যে অনাস্থা রয়ে গেছে।
আদালতের নির্দেশনা রয়েছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেল বা কমিটি করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঘটনার শিকার হলে অভিযোগ দায়ের করতে পারে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এমনকি মহানগরীগুলোতেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে এই কমিটি বা সেল গঠন করা হয়নি।”
মিজ চৌধুরী বলেন, এই না হওয়ার পেছনে মূল দায় হচ্ছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বা পরিচালনা কমিটির।
“একজন শিক্ষার্থী যে সাহস করে অভিযোগটা করবে, সেই জায়গাটাই যদি না থাকে তাহলে সে যাবে কেন?”
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করত তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। সেটা হয় না বলেই এসব ঘটনা সামনে আসে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা জানেই না যে, এ ধরনের কোনও কমিটি স্কুল বা কলেজে রয়েছে।
“শহরে যদিও বা কিছু জানে, গ্রামে-গঞ্জে এটা জানেই না। আর জানলেও অভিযোগ করতে সাহস করে না। আর অভিভাবক লেভেল থেকে অনাস্থা আছে যে করে কোনও লাভ হবে না, মাঝখান থেকে হেনস্থা হবে”, বলছিলেন রাশেদা কে চৌধুরী।
শিক্ষাবিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ বলেন, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদিচ্ছার অভাব, স্কুল কর্তৃপক্ষের মনোযোগের অভাবের কারণে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করা কঠিন হয়।
এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতার কারণেও অনেক ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না বলে মনে করেন তিনি।
“শিক্ষকরা এর মধ্যে জড়িয়ে যান, পুরুষ শিক্ষার্থীরা অনেকে ইভ-টিজিং এর মধ্যে থাকে। এটা নানামুখী সমস্যা।”
মি. আহমেদ আরও বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি যাতে যথাযথ ভাবে কাজ করে তার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষ বা স্কুল কমিটির।
এক্ষেত্রে এই কমিটিতে কাদেরকে রাখা হচ্ছে, তারা উপযুক্ত কি না, তারা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে কি না, তারা এই দায়িত্বকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে কি না তা বিবেচনা করাটা জরুরি।
কী করা যেতে পারে?
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধী একটি কমিটি থাকার কথা।
তবে এই কমিটি আদৌ আছে কি না তা তদারকির কোনও ব্যবস্থা নেই। একই সাথে কেউ এ ধরণের কমিটি না করলে তার কোনও শাস্তিও হচ্ছে না। ফলে দিন দিন এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
তার কথায়, “এটা যদি ঘটতে থাকে তাহলে এখানে যে আইন বলে কিছু আছে তা লোকে মনে করবে না। আর যদি কিশোরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে নিরাপদ মনে না করে তাহলে এটা নারীর অধিকার ও নারীর অবস্থানকে ভীষণ নড়বড়ে করে দিবে এবং নারী শিক্ষার ক্ষেত্রেও একটা বিশেষ দুরবস্থা সৃষ্টি করবে।”
তিনি বলেন, সরকার ও প্রশাসনের উচিত এই বিষয়টি পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিয়ে এটি প্রতিরোধের একটা ব্যবস্থা নেয়া।
তবে সরকারি যে কোনও উদ্যোগ সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে বলেন, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে যে সব নারী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন তাদের অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।
তার মতে, অভিভাবকরা স্কুল কমিটি ও অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করে একটি কমিটি গঠন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্কুল কমিটি যদি অভিভাবকদের আহ্বানে সাড়া না দেয় তাহলে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মিলিতভাবে অভিযোগ জানাতে পারে।
একই সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কমিটি রয়েছে তার একটি তালিকা থাকতে হবে। যে সব প্রতিষ্ঠানে কোনও কমিটি নেই তাদেরকে দায়বদ্ধ করতে হবে।
এসব ব্যাপারে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তারা তদারকি করতে পারে যে কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে কি না।
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সরকারি মাত্র ১০-১২%। বাকিগুলো বেসরকারিভাবে পরিচালিত। তবে এগুলো সরকারি সাহায্যপুষ্ট বা এমপিও ভুক্ত। এগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে আনার উপর জোর দেন তিনি।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জানানোর ব্যবস্থা করতে পারেন যে, কারো কোনও ধরণের অভিযোগ থাকলে সেটি জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
শিক্ষাবিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ বলেন, প্রতিটি স্কুলে অভিভাবক, স্থানীয় শিক্ষা বিষয়ক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সমস্যাটা আলোচনা করতে হবে এবং ঠিক করতে হবে যে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া যেতে পারে বলেও তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা