আগামী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালন করতে সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। শোক দিবস পালনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা থাকবে অর্ধনমিত। এদিন স্কুল-কলেজে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন করে শোক দিবস পালন করতে হবে। এদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা, দোয়া-উপাসনার আয়োজন করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সব দপ্তর-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সব দপ্তর-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে। জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা জেলা তথ্য অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্টার সংগ্রহ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। যাদের এলইডি বোর্ড রয়েছে তারা এলইডি বোর্ডের মাধ্যম বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সব দপ্তর-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান স্থানে জাতীয় শোক দিবসের ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুন্ন রেখে ব্যানার স্থাপন করতে হবে। ব্যানারগুলো পুরো আগস্ট মাস জুড়ে প্রদর্শন করতে হবে। বিবর্ণ, ছেঁড়া ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার বিবর্ণ হলে প্রয়োজনে পুনঃস্থাপন করতে হবে। পোস্টার এবং ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাড়া অন্য ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
অধিদপ্তর আরো বলছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করতে হবে। জাতীয় কর্মসূচির আলোকে সব দপ্তর-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী এবং দোয়া মাহফিল-উপাসনার আয়োজন করবে। শিক্ষার্থীদের বয়সভিত্তিক গ্রুপে বিভক্ত করে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে পরবর্তীতে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করবে। দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সুবিধাজনক সময়ে আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
আদেশে আরো বলা হয়েছে, জাতীয় কর্মসূচির আলোকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সব কর্মসূচিতে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
অধিদপ্তর আরো বলছে, বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দি নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার দেখা নয়া চীন ও শিশু একাডেমি থেকে শিশুদের জন্য প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক সব গ্রন্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রয় ও পাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্ধীদের উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও শিক্ষার দপ্তরগুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১ আগস্ট থেকে মাসব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ করতে হবে।
আদেশে অধিদপ্তর জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব কর্মসূচি পালন ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলো। আদেশটি সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবারআগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।