দেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে। এতে দেশের প্রায় ১ হাজার ৫৯২ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
শুক্রবার ঢাবি রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এ অলিম্পিয়াড আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ আমাদের মেধাবী তারুণ্য। আমাদের তরুণ প্রজন্ম কত মেধাবী সেটার প্রমাণ আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্ব দরবারে রেখে যাচ্ছি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ প্রথমবার আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেই স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। তারপর থেকে রোবটিক্স ইন্ডাষ্ট্রিতে আমরা নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইন ও সাইবার সিকিউরিটি এ চারটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ঝুঁকির মধ্যে পরবো। আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে সকল সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটির বিষয়গুলোকে আমাদের আয়ত্ত্বে আনতে হবে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট তরুণ প্রজন্ম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে এবং বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের প্রযুক্তির সমস্যা সমাধান করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেক্ষেত্রে দক্ষ তরুণ প্রজন্যই হবে মূল চালিকাশক্তি। বিজ্ঞান মনস্ত প্রজন্য গড়ে তুলতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তির সঠিক ও পরিমিত ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সন্তানদের সৃজনশীল কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিস্কারের মাধ্যমে প্রযুক্তিকে মানবকল্যাণে ব্যবহারের জন্য ঢাবি উপাচার্য শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. সেঁজুতি রহমান বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, দেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে। এতে দেশের প্রায় ১ হাজার ৫৯২ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।