দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবং ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পাঁচ বছর। সংবিধান মোতাবেক উপজেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদকাল গণনা শুরু হয় এবং মেয়াদ শেষ হবার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে।
সামনে রমজান, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাসমূহ বিবেচনায় রেখে এ বছরের ৪ মে, ১১ মে, ১৮ মে ও ২৫ মেÑএই চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এই লেখাটির অবতরণা।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরাসরি দেখভাল করা ও মৌলিক সেবাসমূহ জনসাধারণের দোরগোড়য় পৌঁছে দেয়ার জন্য এক কক্ষ বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ সরকারের অধীন স্থানীয় সরকার রয়েছে। জনগণ সমস্ত সেবাসমূহ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরাসরি ভোগ করে থাকেন।
স্থানীয় সরকারের বেশকিছু ধাপ রয়েছে। ১. গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্যÑজেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ। ২. শহুরে জনগোষ্ঠীর জন্যÑসিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা। ৩. বিশেষ স্থানীয় সরকার পরিষদ নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি; এই তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি জেলা পরিষদ রয়েছে।
বাংলাদেশের মূল সংবিধানে (১৯৭৩) শক্তিশালী ও স্বীকৃত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা হিসেবে থানা পরিষদ নামে একটি ধাপ ছিলো, যা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সরাসরি শাসিত হবে।
জেনারেল হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসের শেষদিকে সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ওই বছর ৭ নভেম্বর অধ্যাদেশ জারি করে থানা পরিষদ আইন চালু করেন। পরবর্তীতে থানাগুলোকে আপগ্রেড করেন। আপগ্রেড থানা সমূহ উপজেলায় উন্নীত করে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলা পরিষদ গঠন করেন। এতে প্রসাশনিক কাঠামো বিকেন্দ্রীকরণসহ একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার সাংবিধানিক রূপ লাভ করে। এটা ছিলো অবৈধ এরশাদ সরকারের একটি ভালো কাজ। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে এরশাদ সরকার সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করেন। যদিও এই নির্বাচনগুলো মোটেই অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিলো না।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে জাতীয় সংসদ বহাল থাকাবস্থায় সংসদকে পাশ কাটিয়ে বেআইনি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ‘উপজেলা পরিষদ আইন’ বাতিল করে রাতারাতি নির্বাচিত চার শতাধিক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের অবৈধভাবে আপসারণ করেন। এটা ছিলো বিএনপি সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও সুশাসনের চরম খরা। বিএনপি সরকার উপজেলা পরিষদ আইন বাতিল না করে কারচুপি ও জোরজুলুমের মাধ্যমে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের আইনি কাঠামোতে অপসারণ করে নতুন নির্বাচন দিতে পারতো। আইনি কাঠামোতে না কুলালে সময়োপযোগী নতুন আইন করে জনকল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলা পরিষদ আইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
কিন্তু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়নি। উপজেলা পরিষদ আইন যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার নানা টালবাহানা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেননি। ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সদিচ্ছার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ মার্চ ১৮ বছর পরে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে তৃতীয় উপজেলা পরিষদ গঠন করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৪র্থ ও ৫ম উপজেলা পরিষদ গঠন করা হয়।
সরকারের নতজানু সিদ্ধান্তে এভাবে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা পরিষদ দিন দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অদক্ষতা, অক্ষমতা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণে সংবিধান স্বীকৃত উন্নয়নমূলক ও তাৎক্ষণিক সামাজিক ও মানবিক সেবা থেকে দেশের জনগণকে অনেকাংশেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। উপজেলার দাপ্তরিক যাবতীয় নথিসমূহ উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। অধিকাংশ নথি উপজেলা চেয়ারম্যানকে পাশ কাটিয়ে ইউএনও বেআইনিভাবে অনুমোদন দিয়ে নিষ্পত্তি করছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বহু দেন-দরবার করেও উপযুক্ত সুরাহা না পেয়ে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিট-পিটিশন দায়ের করেন।
এ প্রেক্ষিতে উক্ত আদালত অনতিবিলম্বে উপজেলা পরিষদকে সাংবিধানিক সমস্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রদানের জন্য এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছেন। সরকার অ্যাপিলেট ডিভিশনে আপিল করে রায়টি স্থগিত করে রেখেছে। দুঃখজনক বিষয় হলো, এক বছরেও মামলাটির শুনানি হয়নি। এটাই বর্তমান উপজেলা পরিষদের বাস্তব চিত্র।
উপজেলা পরিষদে আমাদের সমাজে সাধারণত চার ধরনের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন। ১. এক ধরনের জপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন বিপুল কাঁচা টাকা খরচ করে।
২. এক ধরনের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও পেশীশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে।
৩. আরেক একধরনের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন মানুষের হাত-পা ধরে ও কান্নাকাটি করে মানুষকে বোকা বানিয়ে। ৪. আরেক ধরনের জনপ্রতিনিধিরা কোনো ধরনের অনিয়ম ব্যতিরেকে নিজেদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও মানুষের ভালোবাসা দ্বারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হচ্ছেন।
ক্রমিক নং ১-৩-এ বর্ণিত কথিত জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং এরা দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও একেবারেই অযোগ্য। মূলত এমন সম্মানজনক পদটিকে তারা লাভজনক ব্যবসা হিসেবে টার্গেট করেন এবং তাদের ক্ষমতাকে অবৈধ পন্থায় ব্যবহার করে কাড়ি কাড়ি অবৈধ অর্থের মালিক বনে যাচ্ছেন। ক্রমিক নং ৪-এর জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য বা হাতেগোনা। তারা তাদের চারপাশের চালাক ও দুর্নীতিবাজদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে জনসাধারণকে উপযুক্ত সেবাসমূহ দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। মূলত কথিত জনপ্রতিনিধিদের ভিড়ে যোগ্য লোক জায়গা পাচ্ছেন না এবং নিরুৎসাহিত হয়ে হারিয়ে যাচ্ছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের আসল রূপ, চরিত্র ও উদ্দেশ্য কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
এমতাবস্থায়, জনগণের উচিত সবধরনের চাপ উপেক্ষা করে প্রার্থীদের পায়ে পড়ার আবেগকে গুরুত্ব না দিয়ে ১০০/২০০ টাকা বা ঙ্গ কাপ চায়ের বিনিময়ে অসৎ বা অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে যোগ্য লোককে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা। তাহলে পাঁচ বছরে তারা উন্নয়নসহ নানাভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ, উপরন্ত সম্মানসহ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণে সম্ভবনা না থাকায় গত ২২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলীয় সভায় দলীয় মনোনয়ন বা প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকারের চরিত্র বিবেচনায় এটি বাস্তবিকই একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। স্থানীয় সরকার এবং সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
আমার প্রস্তাব দলীয় মনোনয়ন বা প্রতীক না থাকলেও ২০০৯ ও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের উপজেলা নির্বাচন বা বিগত সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা নির্বাচনের মতো তৃণমূলে বর্ধিত সভা করে উপজেলা পরিষদসহ সকল স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রার্থী সমর্থনের সুযোগ রেখে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা উচিত। তৃণমূলের উচিত সাময়িক সামন্য লোভের ঊর্ধ্বে উঠে কর্মী ও জনবান্ধব এবং জনপ্রিয় সৎ, যোগ্য ব্যক্তিকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করার সুযোগ সৃষ্টি করা। যেসব উপজেলায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নেই, উন্নয়নের ধারা চলমান রাখার স্বার্থে জনসাধারণের উচিত সেখানে সরকার দলীয় ঐসব সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা।
বহুমাত্রিক বিরূপ পরিস্থিতি সমূহের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের করণীয় বিষয়সমূহ বা দায়িত্ব-কর্তব্য সর্বপ্রথম নিজেকে সবধরনের অনাচার ও দুর্নীতি থেকে মুক্ত রাখা। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনসাধারণের উপজেলা পরিষদে অবাধে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি করে নিজেকে প্রকৃত জনপ্রতিনিত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে দৃশ্যমান করা। সরকারের ১২টি মন্ত্রণালয়ের ১৭টি দপ্তর উপজেলা পরিষদে ন্যাস্ত আছে। যাবতীয় কর্মকাণ্ড, সেবা এই পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার বিধান রয়েছে। এই ১৭টি দপ্তরের কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে সম্পাদন করার জন্য উপজেলায় ১৭টি স্টান্ডিং কমিটি আছে। স্টান্ডিং কমিটিসমূহ নামেমাত্র পরিচালিত না করে, দক্ষতার সঙ্গে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আইনি রূপদানে উপজেলা পরিষদকে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে বাস্তবায়ন করা উচিত।
জনপ্রতিনিধিদের ওপর অর্পিত আইনি ক্ষমতা বা দায়িত্ব যা-ই থাকুক না কেনো, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাদের দায়িত্ব অপরিসীম। উপজেলা চেয়ারম্যান তার মেধা ও দক্ষতা প্রয়োগ করে নিজ উদ্যোগে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে জনকল্যাণকর কাজ তৈরি করে সেবা প্রদান করতে পারেন। উপজেলাকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে খণ্ডিত অংশের জন্য সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, যোগ্য ও সৎ লোকদের দ্বারা একটি করে মহল্লা উন্নয়ন ও সালিসি কমিটি গঠন করতে পারেন। একইভাবে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন উন্নয়ন ও সালিসি কমিটি গঠন করা যায়।
কমিটি সমূহের মাধ্যমে সরকারের সার্বিক কর্মকাণ্ড, যেমন: উন্নয়ন ও অন্যান্য সেবাসমূহ জনসাধারণের নাগালে পৌঁছে দেয়া যেতে পারে। জন-সম্পৃক্ততার মাধ্যম যাবতীয় অনাচার, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মানবিক সমাজ গঠন নিশ্চিত করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবতীয় অনিয়ম চিহ্নিত করে দূরীকরণের সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করা।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়ে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে সকল কমিটি সমূহের সার্বিক কর্মকাণ্ড সমূহ তত্ত্বাবধান করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এমনকি আদালতকে অবহিত করণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবেন। এভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়গণ তাদের নিজস্ব উদ্ভাবনী পদ্ধতি প্রয়োগ করে আইনি প্রদত্ত ক্ষমতা ও দায়িত্বের বাইরে জনকল্যাণকর বা জনসেবামূলক নানা কাজ বানিয়ে বাস্তবায়ন অব্যহাত রাখতে পারেন; তাতে স্থানীয় সরকারের রূপ, রং দৃশ্যমান হবে ও জনকল্যাণ সাধিত হবে।
লেখক: বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও কলাম লেখক
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।