গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) শিক্ষক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-শিমুলতলী সড়কে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সড়ক অবরোধের কারণে ওই সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে; দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগ আলী বিআরটি প্রজেক্টের ফ্লাইওভারের ওপর প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি মোটরসাইলের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- রাজধানীর মোহাম্মদপুর চাঁদ হাউজিং সোসাইটির স্বপ্ন কোটির রবীন্দ্রনাথ সাহার ছেলে ৩২ বছর বয়সী রামকৃষ্ণ সাহা এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার বড় বিনায়ের চর গ্রামের মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে ৪২ বছর বয়সী মো. দিদার।
দিদার রাইড শেয়ারিং পরিষেবা পাঠাওয়ে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ডুয়েটের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিমাংসু ভৌমিক, ডুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও ডুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
ডুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “রামকৃষ্ণ সাহার মত একজন মেধাবী শিক্ষকের অকাল প্রয়াণ বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। এই ক্ষতি পূরণ কখনও সম্ভব নয়, তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতির ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
কর্মসূচি শেষে নিহত রামকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী বৃষ্টি তার একমাত্র শিশু সন্তান ও পরিবারকে সহায়তার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।