পহেলা সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে আগামী হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমেই এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় পরে আর বাড়ানো হবে না বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগের কিংবা নতুন প্রাক-নিবন্ধিত যেকোনো ব্যক্তি তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন। হজ প্যাকেজ মূল্যের বাকি টাকা প্যাকেজের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। হজ প্যাকেজ মূল্য সৌদি পর্বের ব্যয় ও বিমান ভাড়া নির্ধারণ সাপেক্ষে ঘোষণা করা হবে। তবে এবারের সাধারণ হজ প্যাকেজের দাম গত বছরের চেয়ে কমানোর চেষ্টা করা হবে বলেও এতে জানানো হয়।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের প্রাক-নিবন্ধন ফি ৩০ হাজার টাকা। আগামী হজে বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এই কোটা পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
ই-হজ সিস্টেম (www.hajj.gov.bd), e-Hajj BD মোবাইল অ্যাপ থেকে সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিরা নিজ নিজ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং ঢাকার আশকোনার হজ অফিস থেকে প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় প্রাক-নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিদেরকে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয় শাখা, মতিঝিল ঢাকার Sale Proceeds of Hajj Deposit নামের হিসাবে ০০০২৬৩৩০০০৯০৮ হিসাব নম্বরে টাকা জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ভাউচারের মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দেয়া যাবে। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাথমিকভাবে যোগ্য এজেন্সির তালিকা www.hajj.gov.bd-এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। তাছাড়া, ১৬১৩৬ নম্বরেফোন করে হজ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানা যাবে।
ক্যান্সার, অ্যাডভান্সড কার্ডিয়াক, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগ, সংক্রামক যক্ষা, ডিমেনশিয়া প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং গর্ভবতী মহিলা ও চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদেরকে হজের নিবন্ধন না করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।