প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ। হাইকোর্টে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম না করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টা হতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিলসহ হাইকোর্টে আসতে শুরু করেন। তারা বিচারপতিদের দলবাজ দাবি করে পদত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে দুপুর ১২টার পর হাইকোর্টে সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি প্রবেশ করে। তাঁরা মাইকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস না করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেয়।’
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমারা দেখেছি শত শত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য অপশক্তি, পরাজিত শক্তি চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করব, প্রতিরোধ করব। এজন্য সবাই রাজপথে নেমে আসুন।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। সুতরাং, যার পতন ঘটেছে তার পদত্যাগ করার প্রয়োজন পড়ে না।’
এর আগে আজ শনিবার সকালে সব বিচারপতির অংশগ্রহণে প্রধান বিচারপতির ডাকা সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। চলমান পরিস্থিতিতে কীভাবে আদালত পরিচালনা করা যায় ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন প্রধান বিচারপতি।