সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কনুইয়ের হাড় ভাঙার চিকিৎসা নিতে গেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক রোগীর কিডনি অপসারণের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বুধবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী খছরু মিয়া। তিনি কানাইঘাট উপজেলার ফতেহগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতের বিচারক আবদুল মোমেন আবেদনটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে ১৯ নভেম্বর ওই হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনকরা সহকারী রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
খছরু মিয়ার আইনজীবী আমিনুল হক খান বলেন, মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাছ থেকে পড়ে বাম হাতের কনুইয়ের হাড় ভেঙে যায় দিনমজুর খছরু মিয়ার। এরপর গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ১৭ নভেম্বর সকালে চিকিৎসকেরা তার বাম হাতে অস্ত্রোপচার শেষে বাম দিকের কিডনি বের করে নেন। জ্ঞান ফিরলে খছরু মিয়া বাম হাতের পাশাপাশি বাম দিকের কিডনির পাশে অস্ত্রোপচারের চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় তার স্বজনরা বিষয়টি জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
পরে হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিসহ চিকিৎসকরা জানান, কিডনি থেকে একটি শিরা নিয়ে বাম হাতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পরে তড়িঘড়ি করে অস্ত্রোপচারের একদিন পর হাসপাতাল থেকে তার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়িতে ফেরার পর শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন খছরু মিয়া। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। প্রস্রাব ও মলত্যাগে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।পরে ১৫ জানুয়ারি বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করে নিশ্চিত হন, তার বাম দিকের কিডনি নেই। আর্থিক সুবিধার জন্য চিকিৎসকরা তার কিডনি অপসারণ করে নিতে পারেন বলে অভিযোগে খছরু মিয়া উল্লেখ করেছেন।