রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে ফ্রান্স। এমবাপ্পে হ্যাট্রিক করেছেন তাও বাঁচাতে পারেনি দেশকে। অনেকটা ভাগ্যের কাছেই হেরে গিয়েছে ফ্রান্স। পেনাল্টি শ্যুটআউটে আর্জেন্টিনার কাথে ৪-২ গোলে পরাজয় হয় তাদের। কিন্তু এই হার মেনে নিতে পারছেন না ফরাসিরা। অনেকেই খেলা শেষ হওয়ার পরপরই হারের ক্ষোভ দেখিয়েছেন রাস্তায়। এতে ফ্রান্সজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে দাঙ্গা।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ফাইনাল ম্যাচে হারের পরই ফরাসিরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। প্যারিস-সহ দেশটির বেশ কয়েকটি বড় শহরে দাঙ্গা হয়েছে। এতে যোগ দেয় হাজার হাজার ফুটবলভক্ত। তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্যে করে পাথর ছোঁড়ে, রাস্তার গাড়িও আটকে দেয়।
আবার অনেকে সাধারণ পথচারীদের মারধর করে। প্যারিস, নিস, লিয়নে দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় উন্মত্ত জনতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ধরা পড়েছে ফ্রান্সের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। পুলিশ অফিসারদের লক্ষ্য করে বাজি ও বোমা ফাটান হয়েছে। তাদের মারধর করা হয়েছে।
এক টুইটার ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, লিয়নে এক নারী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার দাঙ্গাকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থাও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ তার। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপে পরাজয়ের পরই রাস্তায় নেমে আসে উন্মত জনতা। হাজার হাজার ফুটবলভক্ত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ভাঙচুর শুরু করে। ফলে প্যারিসের রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ক্যাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।
রাজধানী প্যারিসের বিখ্যাত চ্যাম্পস-এলিসিস এ দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ফুটবল ভক্তদের সংঘর্ষ হয়। প্যারিসের রাস্তা বাজির কারণে একাধিক জায়গায় আগুন লেগে গিয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। খেলা শুরুর আগেই প্যারিস-সহ গোটা দেশে নিরাপত্তা বজায় রাখতে ১৪ হাজার পুলিশ কর্মীকে রাস্তায় মোতায়েন করেছিল। কিন্তু তাতেও বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন দুর্ভাগ্যজনক পরাজয় দমিয়ে রাখতে পারেনি ফরাসিদের আবেগকে। এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।