দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভ্যালে অধিকারকর্মী হো চি মিন ইসলাম বক্তব্য দিতে পারেননি। এ ঘটনা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এনএসইউ বলছে, শিক্ষার মান ধরে রাখার পাশাপাশি সকলের জন্য একটি সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট হলেও তবে সাম্প্রতিককালে উইমেন’স ক্যারিয়ার কার্নিভালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় এ লক্ষ্য অর্জন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
গতকাল রোববার এনএসইউয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
এনএসইউ কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা এই অনুষ্ঠানে হো চি মিন ইসলামের অংশগ্রহণ বিষয়ে জনগণের ভিন্ন মতামতকে সম্মান করি। এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো আমাদের সমাজের বিভিন্ন বিশ্বাস এবং মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তৃতি ও সংলাপকে উৎসাহিত করতে এনএসইউ শিক্ষার শক্তিতে বিশ্বাস করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাবি করা হয় যে উপাচার্যের কার্যালয় আলোচনাটি বাতিল করেছে। তবে আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সময় এনএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম দেশের বাইরে ছিলেন। উপ-উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হলেও উল্লেখ্য যে, এনএসইউতে বর্তমানে কোন উপ-উপাচার্য নেই। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, সিপিসি এবং ইভেন্টের আয়োজক, হিরোস ফর অল (এইচএফএ) এবং আই-সোশ্যালের মধ্যে সব যোগাযোগ হয়েছিলো। আমরা হিরোস ফর অল (এইচএফএ) এবং আই-সোশ্যালকে তাদের অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জানাই। এনএসইউ এই অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। আমরা লিঙ্গ সমতা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে সংগঠক এবং বক্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবো।
এনএসইউ বলছে, আমরা এসডিজি-৫ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লিঙ্গ সমতা ও ক্ষমতায়নকে সমর্থন করে এমন সুযোগ সৃষ্টিতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি, যেখানে প্রতিটি অভিমতই মূল্যবান। আমরা ক্যাম্পাসে সবার জন্য একটি নিরাপদ, সহযোগিতামূলক স্থান বজায় রাখতে নিবেদিত।
এদিকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিরোজ ফর অল এবং আই সোশ্যাল আয়োজিত উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভ্যালে অধিকারকর্মী হো চি মিন ইসলামকে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ হো চি মিন ইসলামের উপস্থিতি প্রতিহত করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন এবং পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তার অজুহাতে বক্তার নামের তালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে তার গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।