শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ১০ তলা বিশিষ্ট কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯ টা ১০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী হলের গার্ড পাভেল ভূঁইয়া বলেন, হঠাৎ শব্দ শুনে গার্ড রুম থেকে বাইরে এসে দেখি এক ছাত্রী নিচে পড়ে আছে। লাফ দেওয়ার সময় কাঁঠাল গাছের ওপর পড়েছিল, ডাল ভেঙে নিয়ে নিচে পড়েছে। যতটুকু দেখেছি, হাত ভেঙে হাড় বের হয়ে গেছে।
জানা যায়, সে কৃষি অনুষদের ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। অসুস্থতার কারণে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় নিয়মিত অংশ নিতে পারেনি। যে কারণে তিনি বর্তমানে পরবর্তী ব্যাচের (২০১৯ শিক্ষাবর্ষ) সঙ্গে অধ্যয়ন করছেন। আগামী এপ্রিল মাসে লেভেল ৩, সেমিস্টার ২ এর ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার।
তার সহপাঠীরা জানান, আহত শিক্ষার্থী হতাশায় ভুগছিল। ও কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তিত ছিল। ওর বেশ কয়েকটা সিটি পরীক্ষা ডিউ ছিল। শুনেছি অনেক স্যাররা ডিউ পরীক্ষা গুলো নেবেন না বলেছেন। এছাড়া অসুস্থতার কারণে ক্লাস করতে পারেনি।
তারা আরও জানান, পরবর্তীতে স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের স্যাররা নাকি ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারবে না এবং ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে বলেছে। ক্লাসে উপস্থিতির হার কম, ক্লাস-পরীক্ষা ও পারিবারিক চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা।
তার আরেক সহপাঠী বলেন, গতকাল ও (আহত শিক্ষার্থী) আমাকে ওর শিট ফটোকপি করার জন্য নিষেধ করেছিল। ডিটেইলস তো আমি কিছু জানতাম না তবে ওকে চিন্তিত মনে হচ্ছিল।
এ বিষয়ে জানতে কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. নাজমুন নাহারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন বলেন, মেয়েটি ঢাকা মেডিকেলের আইসিউতে আছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাত, পা ভেঙে গেছে। প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। আত্মহত্যা চেষ্টার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতদূর শুনেছি, মেয়েটির ক্লাসে উপস্থিতির হার কম ছিল। পরীক্ষাও বাকি ছিল৷ এ নিয়ে হতাশায় ছিল।