পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। রোববার (৮ জানুয়ারি) কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রতিবেদনটি সংসদে উপস্থাপন করেন। এতে বিলটি পাসের সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমানে শুধু সরকারি কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান। এর বাইরে দেশের সব নাগরিককে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে আইনি কাঠামো তৈরি করছে সরকার। এ লক্ষ্যে গত ২৯ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিলটি জাতীয় সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিলে বলা হয়েছে-
জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও এর আওতায় রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাসিক পেনশন সুবিধা পেতে চাঁদাদাতাকে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন।
আইন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাঁদার হার নির্ধারণ করবে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে- চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। একজন পেনশনার আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।