দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১০ বছর পর চতুর্থ সমাবর্তনের আয়োজন করতে যাচ্ছে সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি)। সর্বশেষ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় সমাবর্তনের পর চতুর্থ সমাবর্তনের মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ১০ বছর। এর মধ্যে সমাবর্তনের অপেক্ষায় থাকায় কয়েক হাজার গ্র্যাজুয়েটদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে গণবিশ্বদ্যিালয়য়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া নিয়ে নানা জটিলতা ছিল। এজন্য এতদিন সমাবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এখন উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছে। উপাচার্যকে নিয়ে একটা মামলা ছিল সেটিও নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাবর্তনের করতে চায়।
তিনি জানান, ৪র্থ সমাবর্তনে যোগ্য ও আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশন করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে।
যারা সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবে
রেজিস্ট্রার বলছেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন তারিখ চূড়ান্ত না হলেও খুব শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবর্তনে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর সেমিস্টার পর্যন্ত যারা স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তারা এ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ জানুয়ারি সেশন পর্যন্ত পেশাগত এমবিবিএস অর্জন করেছেন তারাও এতে অংশ নিতে পারবেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট থেকে ২০২২ নভেম্বর সেশন পর্যন্ত পে বিডিএস ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরাও সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ সময়ের যে সব শিক্ষার্থী গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর/এমবিবিএস/বিডিএস অর্জন করেছেন তাদেরকে convocation.gonouniversity.edu.bd এই লিঙ্কে করে আগামী ২ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন ফি
স্নাতক/স্নাতকোত্তর/এমবিবিএস/বিডিএস (একক ডিগ্রির জন্য)- ৬ হাজার টাকা। আর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর (উভয় ডিগ্রির জন্য) ১০ হাজার ধার্য করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর ইতোমধ্যে পার করলেও মাত্র ৩টি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সময় অনুষ্ঠিত হয় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন। দুই বছর পরও প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দ্বিতীয় সমাবর্তন হয় ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ আগস্ট। এরপর আবারও ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মে প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সময়ই তৃতীয় সমাবর্তন হয়।