ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি কোম্পানির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। চলতি মাসের জন্য ১ হাজার ২৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৭৪ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ফলে দাম কমেছে ১৬১ টাকা৷ গাড়িতে ব্যবহৃত প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৫৭ টাকা ৫২ পয়সা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা ৯ পয়সা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান প্রমুখ।
কমিশনের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বলেন, নতুন এই দর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে। বাজার তদারকিতে মাঠে থাকবে কমিশন। অতিরিক্ত দামে এলপিজি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, বেসরকারি খাতের প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা যা আগের মাসে ছিল ১০২ টাকা ৯১ পয়সা। পাশাপাশি সাড়ে ৫ থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বোতলজাত সব এলপিজির দাম একই হারে সমন্বয় করা হয়েছে।
একইভাবে বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি কেজি রেটিকুলেটেড এলপিজির দাম ৮৬ টাকা ২৫ পয়সা যা আগের মাসে ছিল ৯৯ টাকা ৬৮ পয়সা এবং রেটিকুলেটেড এলপিজি গ্যাসীয় অবস্থায় প্রতি লিটারের দাম শূন্য দশমিক ১৯১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা আগে ছিল শূন্য দশমিক ২২১৫ টাকা।
বিইআরসি জানায়, মে মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত গড় সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) প্রতি টন ৪৪৩ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এই মূল্য বিবেচনায় নিয়ে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। যদিও কমিশন নির্ধারিত দামে বাজারে এলপিজি পাওয়া যায় না। দাম বৃদ্ধি-হ্রাস যাই হোক না কেন বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমতো দাম আদায় করেন ক্রেতার কাছ থেকে।