গৃহশিক্ষককে হত্যার অভিযোগে ১৪ বছর বয়সী এক ছেলেকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ । ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছেলেটিকে বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতন অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঘটনার ৩দিন পর গত শুক্রবার ছেলেটিকে আটক করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি রাজেশ দেও বলেন, ৩০ আগস্ট একটি কল আসে যে জামিয়া নগরের বাটলা হাউসের দ্বিতীয় তলার একটি ঘর থেকে রক্ত বের হচ্ছে এবং ঘরটি খোলা ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের দল দেখতে পায়, গলায় গভীর কাটা ক্ষত সহ মেঝেতে পড়ে আছে একটি লাশ। এর পরপরই একটি খুনের মামলা নথিভুক্ত করে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে, পুলিশ মনে করছে গৃহশিক্ষক হয়ত সমকামী ছিলেন। তিনি দুই মাস আগে ছেলেটির সাথে দেখা করেছিলেন এবং তারপর থেকে বেশ কয়েকবার তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। শিক্ষক ছেলেটির সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিওও ধারণ করত এবং তা দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করত।
পুলিশকে ছেলেটি জানিয়েছে, ২৮ বছর বয়সী গৃহশিক্ষক নিয়মিতভাবে তাকে গালিগালাজ করতেন এবং এমনকী যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও করেছিলেন তিনি। ছেলেটি যৌনতায় বাধা দিলে লোকটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করার হুমকি দেয়। তাই প্রতিশোধের নিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই গৃহশিক্ষককে হত্যা করে সে।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গৃহশিক্ষক তার পরিবারের সঙ্গে জাকির নগরে থাকতেন।
ঘটনার দিন, জামিয়া নগর বাড়িতে তার সাথে দেখা করার জন্য তার গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পর, ছেলেটি একটি ধারালো কাটার সঙ্গে নিয়ে সেখানে যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে লোকটির গলা কেটে ফেলে।
যে এক কক্ষের অ্যাপার্টমেন্টে মৃতদেহটি পাওয়া গেছে সেটি ওই ব্যক্তির পারিবারিক মালিকানাধীন। অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়ায় ছিল এবং কয়েকদিন আগে একজন ভাড়াটিয়া চলে গেলে ঘরটি খালিই ছিল।