প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ এর সামনে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার নুরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বুধবার ভোরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল ইসলাম খান। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৫০তম সাক্ষী।
নুরুল ইসলাম খানের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নাহিদ খান জানান, তার বাবা বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ২ জানুয়ারি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার নয়নশ্রী ইউনিয়নে রাহুতহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে এসপি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে নূরুল ইসলাম খানের পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ে।
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবার পরিজনদের নৃশংসভাবে হত্যার পর আহত অবস্থায় ধানমন্ডি থানায় প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার ডায়েরি করেন নুরুল ইসলাম খান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম সাক্ষী দেয়ার জন্য তার ওপর দুইবার আক্রমণ হয়।