১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক’ দিবসের ছুটি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার দিন ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছিল। দিনটি ছিল সরকারি ছুটি। ‘ক’ ক্যাটাগরির জাতীয় দিবস হিসেবে এটি পালিত হয়।
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ৬ বছর পর ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জুলাই হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ আগস্টকে আবারও জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়। পরে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এরপর থেকে দিনটি ‘জাতীয় শোক’ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল।
এ বছর দিবসটি পালন না করে স্থগিত করা হয়। পুরো রায়টি স্থগিত চায় রাষ্ট্রপক্ষ। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিল করে। ১৩ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ওই দিনের ছুটি বাতিলের বিষয়টি অনুমোদন হয়। ছুটি বাতিলের প্রজ্ঞাপনও জারি করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার।