১৫ শতাংশ কর ইস্যুতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর সংশোধনী চেয়েছে প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। চলতি সপ্তাহে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আচার্য এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ আবেদন জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে বলে রায় দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু প্রচলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বর্তমানে দেশের বেসরকারি এসব শিক্ষালয় বিবেচিত হচ্ছে অলাভজনক হিসেবে। ফলে বিষয়টি নিয়ে একক সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষই।
চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ (ধারা-১৫) অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। আইনের ৪৪(৭) ধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলের অর্থ ওই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যয় ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে খরচ করা যাবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে। এ অবস্থায় আয়কর দেওয়ার নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়কে উভয় সংকটে ফেলবে। কেননা প্রচলিত আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের কোনো অর্থ উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠাতারা যেমন গ্রহণ করতে পারেন না, তেমনি আয়কর হিসেবে প্রদান বা অন্যভাবে ব্যয়ের বিষয়টিও সরাসরি আইনের লঙ্ঘন হিসেবে প্রতীয়মান। কর আরোপ করা হলে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নয়নকাজ বিঘ্নিত তথা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা হ্রাসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের লাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ভারতেও এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনে লাভজনক ও অলাভজনক উভয় পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।