ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর এক আলোচনা সভার পর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে সংগঠনটি।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, এই স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট ও দলের আওতামুক্ত রাজনীতি সচেতন ছাত্র-জনতা। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর চেয়ে বড় রাজনীতি আর কোনো রাজনীতিই না। আমরা চাই সেই রাজনীতির আদর্শে ছাত্ররাজনীতির ব্যাপক ইতিবাচক সংস্কার হবে।
ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে মত-দ্বিমত হবে, যুক্তির পাথরে সবাই বিক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু কোনো হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না। কোনো গেস্টরুম, গণরুম থাকবে না। চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এই ছাত্ররাজনীতি। মধুতে ভিন্নমতের কেউ চা খেলে অপর পক্ষের কেউ তেড়ে আসবে না। একাডেমিক পরিবেশে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ছাত্রসংসদ ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি।
গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান কিন্তু কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ ও পূর্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে হবে জানিয়ে তিনি আরো লেখেন, এই রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা। আমরা চাই ছাত্ররাজনীতির সংস্কার গবেষণা, পলিসি ডায়ালগের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হোক। এ লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে দেখা গেলেও ছাত্রশিবিরের কোনো নেতাকে প্রকাশ্যে রাজনীতির মঞ্চে দেখা যায়নি।