প্রাথমিকের খুদে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ করবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। আবারও এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের উপবৃত্তি বিতরণের জন্য চুক্তি করতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তেমনটাই জানা গেছে অধিদপ্তরের পাঠানো একটি চিঠিতে।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি বিতরণ করে আসছে নগদ। এ ছাড়াও নগদ বিতরণ করছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিধবা-স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী শিশু ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা।
নগদ-এর এই স্বচ্ছভাবে ভাতা বিতরণের রেকর্ডের কারণেই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সরকারের সব ভাতা নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণের সুপারিশ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আবারও শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণের জন্য নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে।
শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি নয়, নগদ এবার আরও বেশি কিছু দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার একই সাথে পিটিআই পরীক্ষামূলক স্কুল এবং শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়কেও উপবৃত্তির আওতায় আনতে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপবৃত্তির আওতায় আনতে যে যে কাজ করা দরকার, তা করা হবে।
নগদ-এর সঙ্গে উপবৃত্তি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রথম চুক্তি করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নির্দেশনার ফলে এই চুক্তি করা হয়। তিনি এ বিষয়ে একটি নির্দেশনাও জারি করেছিলেন। এর আগে অন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় উপবৃত্তি বিতরণে অনিয়মের কারণে প্রায় এক বছর এই উপবৃত্তি বিতরণ বন্ধ ছিল।
নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করার ফলে গত অর্থ বছরে সরকারের বিপুল পরিমানে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। নগদ যেহেতু ক্যাশ আউট চার্জসহ নির্ধারিত খরচে উপবৃত্তি বিতরণ করে, তাই শিক্ষার্থীরা বৃত্তির পুরো টাকা তাৎক্ষনিক হাতে পেয়ে থাকেন।
নগদ অত্যন্ত সফলভাবে সরকারের উপবৃত্তি বিতরণ করতে পেরেছে এবং দায়িত্ব পেলে আবারও একইরকম স্বচ্ছতা বজায়ে রাখবে বলে বলেছেন নগদ-এর হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সজল। তিনি বলেন, আমাদের ওপর আস্থা রাখা হলে আমরা এই অর্থ বছরেও একই মানের সেবা দিয়ে যাবো।
নগদ-এ উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে নিজের মোবাইল নম্বর ও জন্মসনদের পাশাপাশি অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। ফলে ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা ভাতা বিতরণের সাথে সাথে মোবাইলে ক্যাশ আউট চার্জসহ উপবৃত্তির টাকা বুঝে পান।