বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে হওয়া ২২৮ টি মামলায় সব আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মোট ৩০৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
তাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, চুরি, অগ্নিসংযোগের দায়ে এসব মামলা হয়। ১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা হয় এসব মামলা।
অব্যাহতি পাওয়া অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ আসীম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ।
আদালত আদেশে বলেছেন, অপরাধ প্রমাণের মতো কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে ভবিষ্যতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামীদের সন্ধানসহ নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে। আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মামলার তদন্ত অহেতুক ফেলে না রেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতারকৃত আসামিরা মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এসব ঘটনা অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারী কর্তৃক সংঘটিত হওয়ায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।