মানিকগঞ্জের ঘিওরের মাইলাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে। দীর্ঘ ২২ বছরেও নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে ভবনের দরজা-জানালার বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে, মরিচা ধরে ক্ষয়ে যাওয়া টিনের চাল পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। দেয়ালের বিভিন্ন অংশ ফেটে রড বেরিয়েছে। দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়েই এ ভবনে পাঠদান চলে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, নতুন ভবনের জন্য কয়েক দফায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি উপজেলা শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২০০। শিক্ষক আছেন ছয়জন। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের চৌচালা টিনশেড ঘরটি নির্মাণ করা হয় ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে। ২০০১-০২ অর্থবছরে তিন কক্ষের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। সেখানে একটি কক্ষে শিক্ষকেরা বসেন। বাকি দুই কক্ষে পাঠদান করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত টিনের ঘরে পাঠদান চলছে। এটি দুঃখজনক। বিকল্প কক্ষ না থাকায় বাধ্য হয়ে দুই শিফটে পাঠদান চলে।
ঘিওর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যালয় হলেও এটি উন্নয়নবঞ্চিত। ঝুঁকির কারণে অনেক অভিভাবক সন্তানদের দূরের স্কুলে ভর্তি করান।
সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে গিয়ে কথা হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফিফা ও মো. আবদুল্লাহ জানায়, বৃষ্টির সময় শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠে। এতে বইখাতা ভিজে যায়।
প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে টিনের ঘরটি একেবারেই জরাজীর্ণ। অধিকাংশ টিনগুলো ফুটো হয়ে গেছে। বৃষ্টির সময় পানি পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্মক ব্যাহত হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার পারভিন বলেন, নতুন ভবনের অনুমোদনের পর ইতিমধ্যে সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ শুরু হবে।