মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ২০ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রিয়াজউদ্দিন মাদবর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুল ছুটি হওয়ার কিছুক্ষণ আগে শিক্ষার্থীরা ওপরতলা থেকে নিচে নামে। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তার পায়ে থাকা জুতা খুলে নিক্ষেপ করেন। ভয় পেয়ে ছাত্ররা দৌড়ে ক্লাস রুমে চলে যায়। এরপর হাফিজুর রহমান ক্লাসরুমে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির প্রায় ২০ জন ছাত্রকে পর্যায়ক্রমে ডেকে তার পায়ে থাকা জুতা খুলে পিটুনি দেয়।
এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ বলেন, ‘আমাদের হেড স্যার আমিসহ আমাদের ক্লাসের প্রায় ২০ জনকে জুতা দিয়ে পিটাইছে। আমরা নিচে নেমেছি, আর হেড স্যার জুতা ফিক্কা লাগাইছে। পরে ক্লাসে গেছি, তারপর আমাকে দুইটা বাড়ি দিছে, আর সবাইকে পিঠে একটা করে বাড়ি দিছে জুতা দিয়ে।’
এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম গিয়াস মাতুব্বরকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ঐ শিক্ষক তাকে বলেছেন, তিনি রাগের মাথায় এই অন্যায় করেছেন। এখন তার যে বিচার হবে তা মেনে নিবেন। প্রধান শিক্ষক তার ছাত্রদের জুতাপেটা করতে পারেন কি না প্রশ্নের উত্তরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, ‘সেটা তো পারে না, এখন আমরা এক জায়গায় বসি, তারপর প্রয়োজনে মুচলেকা নেব, যেন সে আর কোনোদিন এই ধরনের কাজ না করেন।’
শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সী রুহুল আসলাম বলেন, আমাকে এলাকাবাসী এমন অভিযোগ দেয়নি। ঘটনাটি আমি শুনেছি সন্ধ্যায়। এক জন সাংবাদিক জানিয়েছেন। এক জন এটিইওকে স্কুলে গিয়ে তদন্ত করার জন্য বলেছি। যদি এর সত্যতা মিলে, তাহলে অবশ্যই আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।