সুতীর্থ বড়াল, দৈনিক শিক্ষাডটকম : সর্বশেষ অর্থাৎ ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের বাধায় যারা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না বলে মনে করছেন তারা উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন। আবেদনের সুযোগ চেয়ে রিট পিটিশন করেছিলেন ১৭০ জনের মতো। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন শুরু ১৭ এপ্রিল। রিটকারীরা শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা ও জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তরে ১ এপ্রিল প্রকাশিত পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির কপি এবং করোনার লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য আবেদনের বয়স ছাড়ের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন রিট পিটিশনের সঙ্গে।
রিটকারীদের একজন মো. ইউসুফ। তিনি ৯ এপ্রিল দুপুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমাদের আইনজীবী আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, গতকাল শুনানি হয়েছে, আজ রুল জারি হয়েছে। রুলের মূল কপি পাওয়া যায়নি । তাই আইনজীবীর প্রিন্টেড প্যাডে রুল সংক্রান্ত সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। এতে ৩৫ প্লাস বয়সী ১৭তম নিবন্ধনধারীদেরকে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য যথাযথ বয়স ছাড় না দেয়া কেনো অবৈধ হবে না মর্মে কারণ দর্শাতে এনটিআরসিএকে বলা হয়েছে।’
আইনজীবীর সার্টিফিকেটের বরাত দিয়ে ইউসুফ আরো দাবি করেন যে, ‘হাইকোর্ট এনটিআরসিএকে ডিরেকশন দিয়েছে যেনো তাদেরকে বয়স ছাড় সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের প্রজ্ঞাপনের আলোকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। ’
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন বলে রিটকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন।
এদিকে ১৭তম পরীক্ষায় নিবন্ধিত ও ৩৫ প্লাস বয়সী কয়েকজন নিবন্ধিত ব্যক্তি দুই বিচারপতির দেয়া রুলকে রায় বলে ফেসবুক গ্রুপে বর্ণনা করেছেন, যা সঠিক ব্যাখ্যা নয় বলে জানতে পেরেছে দৈনিক শিক্ষাডটকম।
দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে এনটিআরসিএ’র সঙ্গে। তাদের পদক্ষেপ আজ রাতেই জানানো হবে দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর লাইভে ও প্রতিবেদনে।