শরিক ১২ কিংবা ৩৬ দলের নাম যদি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুখস্থ বলতে পারেন তাহলে তাকে ধন্যবাদ দেবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থানে মন্ত্রীকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজেই এ কথা জানান।
শরিক ১২টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামী জুলাই থেকে সরকারবিরোধী একদফা আন্দোলনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন তিনি। প্রস্তুতিতে ৩৬টি দল তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, বিএনপি জোটে আসলে কতটি দল আছে, সেটা নিয়ে একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। মাস্টার্সের একটি থিসিস অন্তত হতে পারে—বিএনপি জোটে কখন কতটি দল। তারা অনেকটা অ্যামিবার মতো। অ্যামিবা কখনো নিজেকে দ্বিখণ্ডিত করে, বাড়ে। সুতরাং বিএনপি ও অ্যামিবার মধ্যে প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ১২ কিংবা ৩৬ দলের নাম যদি মির্জা ফখরুল নিজে মুখস্থ বলতে পারেন— আপনারা (সাংবাদিক) কোনো সংবাদ সম্মেলনে তাকে একবার জিজ্ঞেস করবেন, আপনি দলগুলোর নাম মুখস্থ একটু বলেন—তিনি বলতে পারলে তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাব।
পশ্চিমতীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি প্রাণঘাতী বিমান হামলার ঘটনায় বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থার নীরবতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষের ওপর ইসরাইলি সামরিক বাহিনী যেভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে, এতে প্রাণহানি ঘটছে, মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সেখানে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, যেখানে পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশে পান থেকে চুন খসলেই বিবৃতি দেয় বা অনেক ক্ষেত্রে বিবৃতি বিক্রি করে, আর এ ক্ষেত্রে তারা নিশ্চুপ।
তিনি আরো বলেন, যেসব দেশ বিভিন্ন সময় মানবাধিকার নিয়ে অন্য দেশগুলোকে পরামর্শ দেয়, তাদেরও কোনো বক্তব্য খুঁজে পাচ্ছি না। এটা দুঃখজনক। ফিলিস্তিনি শিশুদের পাথরের জবাবে ইসরাইলি বাহিনী বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়ে। বোমা বর্ষণ করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। যারা পৃথিবীতে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, তাদের নীরবতা আরো বেশি দুঃখজনক।