প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশে মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম। ফলে বাড়ছে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা। তারপরও বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন মামলাজট কমানোর। চলছে নতুন বিচারক নিয়োগের কার্যক্রম। এ দেশে ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এ বিচারকের সংখ্যা একবারেই কম। ইতোমধ্যেই ১০২ জন বিচারকের নিয়োগের কাজ চলছে। যা পুলিশি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। আরো একশো বিচারক নেয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জের’ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এ রাষ্ট্রের মলিক জনগণ। কোর্টে আগত বিচার প্রার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা কাজ করছি আমরা। এজন্য জেলায় জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ। এলক্ষ্যে সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটা জেলায় কমবেশি ৫০ লাখ টাকা করে দেয়া হবে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণে। আমরা ঠিকাদারদের বলেবো এটি নির্মাণে যাতে কোনো রকমেই অপব্যবহার না হয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমলাম, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলসহ জেলার আইনজীবীরা।