যে তিনটি বিসিএস সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ৪৪তম বিসিএস। এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এখন সেই খাতা দেখা শুরু করেছেন পরীক্ষকেরা। কয়েক দিনের মধ্যে সব খাতা প্রথম পরীক্ষকদের দেয়া শেষ করবে পিএসসি। আর এই খাতা দেখতে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে পিএসসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, এই সপ্তাহে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা প্রথম পরীক্ষকদের দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষক ১০০টি করে খাতা পাচ্ছেন। আর খাতা দেখতে সময় দেওয়া হচ্ছে ১৫ দিন। এভাবে সময়ের মধ্যেই যাতে খাতা দেখা শেষ হয়, সে জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি।
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয়, শেষ হয় জানুয়ারি মাসে। পিএসসি সূত্র জানায়, এই লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা সময়মতো শেষ করতে চায় পিএসসি। আর খাতা দেখায় যাতে পরীক্ষক দেরি না করেন, সে জন্য পরীক্ষকদের খাতা সঠিক সময়ে জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো পরীক্ষক সময়মতো খাতা জমা না দেন, তাহলে তাঁকে পরবর্তী সময়ে আর খাতা দেওয়া হবে না বলেও জানায় পিএসসির ওই সূত্র।
চলতি বছর ৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করার কথা জানিয়ে পিএসসির একটি সূত্র বলেছে, ৪৪তম বিসিএস অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। ৪৩তম বিসিএসের পাশাপাশি এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে পিএসসির। এ বছরই এই বিসিএস শেষ করার কার্যক্রম হাতে নিয়ে এগোচ্ছে পিএসসি।
৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি।
এরপর গত বছরের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন পরীক্ষার্থী পাস করেন।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।