দ্বিতীয় ধাপের যাচাই-বাছাইকৃত ৪৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বুধবার স্মারকলিপির অনুলিপি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবির বিন আনোয়ারের হাতে তুলে দেন সমিতির নেতাদের এক প্রতিনিধি দল। পরে সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করে বিশাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী ৯ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় সরকারিকরণ করেছিলেন। যাচাই-বাছাই করে সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও জাতীয়করণের দ্বিতীয় ধাপ থেকে বঞ্চিত ৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজও সরকারিকৃত করা হয়নি। এর ফলে একদিকে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। অপরদিকে বেতনবিহীন শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ সরকারের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
সমিতি বলছে, শিক্ষা ক্ষেত্রের বিশাল অর্জনসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশবাসীসহ সারা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জানুয়ারির পরে আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হবে না। ওই ৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মে আগে বিদ্যালয়ের নামে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল, স্থাপিত, পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত, অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণসহ সব শর্ত পূরণ করার পরেও সেগুলো সরকারিকরণে মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রম স্থবির হয়ে রয়েছে। তাই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওই স্কুলগুলো সরকারিকরণে প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি জানিয়েছেন।
স্মারকলিপির অনুলিপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রহিম (তালতলী-বরগুনা), সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ (চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ), শিক্ষক নেতা মো. মাহবুব আলম, শাহারুল ইসলাম, শামসুজ্জামান, মো. আলমগীর (বরগুনা) ও জহিরুল ইসলামসহ (হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ) আরো অনেকে।