ভাতা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকার দাবি জানিয়েছেন পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। ভাতা বৃদ্ধি ও নিয়মিত করার দাবিতে ‘গণঅনশনে’ নেমেছেন তারা।
রোববার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা ১১টা থেকে কর্মবিরতি ও ‘গণঅনশন’ কর্মসূচি শুরু করেন বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে।
প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক ডা. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই অনশনের কারণে আমরা যদি কেউ অসুস্থ হলে দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের মানুষ বাঁচাতে ডাক্তারদের বাঁচাতে হবে। আমরা রাস্তায় বসে থাকতে চাই না, আমরা হাসপাতালে ফেরত যেতে চাই, রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চাই।
ড. বেনজির বেলাল খান নামে আরেক চিকিৎসক বলেন, আমাদেরকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়ে ট্রিটমেন্টে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। আমারও চাই রোগীদের সেবা দিতে, আমরা চাই না রোগীরা কোনো ভোগান্তিতে পরুক। তাই আমাদের অনুরোধ খুব দ্রুত যেন আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা হোক।
পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস্ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি একটাই ভাতা বৃদ্ধি করা। আমরা প্রতিদিন কর্মসূচি ঠিক করি। গণঅনশন কর্মসূচি পালন করছি। পরবর্তী কর্মসূচি আমরা আলোচনা করে ঠিক করবো। সেটা জাতীয় প্রেস ক্লাব কিংবা শাহবাগ অবরোধও হতে পারে।
আন্দোলনকারী একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, রোগীদের ভোগান্তিতে আমরা ফেলতে চাই না। আমরা চাই আমাদের দাবি মেনে নেয়া হোক। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ২০ হাজার টাকাতে পরিবার চালানো, নিজে চলা অনেক মুশকিল। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম ভাতা দেয়া হয় আমাদের দেশের ট্রেইনি ডাক্তারদের। ভারতে এই ভাতা দেড় লাখ রুপি, পাকিস্তানে প্রায় পঁচাত্তর হাজার রুপি। ভাতা নিয়মিত করার পাশাপাশি নাম মাত্র ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হোক।
আন্দোলনকারীরা আরো বলেন, আমাদের দাবি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করলে আমরা এখনই কাজে ফিরে যাবো। আমরা হাসপাতালে ফিরে যেতে চাই, রোগীদের চিকিৎসা করতে চাই।
এর আগে গতকাল শনিবার একই দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বেসরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।