৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতির চেয়েও মারাত্মক বিসিএসের প্রশ্নফাঁস - দৈনিকশিক্ষা

৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতির চেয়েও মারাত্মক বিসিএসের প্রশ্নফাঁস

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি সংস্কার জরুরি হয়ে পড়ছে। তবে সরকারি চাকরির সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বিসিএস পরীক্ষার কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতির চেয়েও মারাত্মক দুশ্চিন্তার কারণ।

বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি রেজাউল করীম আবরার।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের পরিবর্তে পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া হয়েছিল। সেই কোটা আমরা আর চাই না। ৫৬ ভাগ কোটা আমরা চাই না। মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সম্মান করি মনে প্রাণে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দোহাই দিয়ে তাদের নাতি-পুতিরা ৫৬ ভাগ নিয়ে গেলে আর কী থাকে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যমূলক পেনশন-ব্যবস্থার পরিবর্তে সর্বজনীন পেনশন চালু এবং শিক্দের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফয়জুল করীম বলেন, সম্প্রতি পিএসসির ব্যবস্থাপনায় রেলওয়ের উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা উদ্বেগজনক। সবকিছুর একটা সীমা থাকা প্রয়োজন। বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করলে আর কী বাকি থাকে? সরকার দেশকে দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। যার আখের অত্যন্ত ভয়াবহ হবে এবং এর খেসারত গুণতে হবে সমগ্র দেশবাসীকে। দেশ কোথায় গিয়ে ঠেকছে, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা কি ভেবে দেখেছেন? দেশে যখন মানুষের ভোটাধিকার থাকে না, তখন যে দেশের কী অবস্থা হয়, তা বর্তমান সরকারের দিকে তাকালেই বুঝা যায়।

সরকার ভারতের সঙ্গে ১৩ দফা চুক্তি করে দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে উল্লেখ করে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, দেশের বুক চিড়ে রেল চলবে, নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের হাতে এটা সমঝোতা হয় কীভাবে? এটা তো পুরো করিডোর। এই রেলে কী আসবে, অস্ত্র, মাদক, ভারতীয় সৈন্য? কী আসবে কেউ জানে না। এটা হতে পারে না।

তিনি ভারতের সঙ্গে দেশ ও স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037548542022705