দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তর পরিচালিত ৮টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ আবেদন চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত।
আটটি কলেজ হলো- চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহের শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রংপুরের পীরগঞ্জের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জের শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং জামালপুরে শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
এসব কলেজে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। পড়াশোনা শেষে টেক্সটাইল মিল, কারখানা, বায়িং হাউস, মানবসম্পদ, ফ্যাশন ডিজাইনিং, বিপণন—সবখানেই টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ রয়েছে।
সরকারি আটটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মোট ৯৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এসব কলেজে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ জন, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রার্থীকে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২২ বা ২০২৩ সালে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ৫ স্কেলে জিপিএ কমপক্ষে ৪ পেয়ে পাস হতে হবে। অথবা বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৮ পেতে হবে।
আবেদনকারীকে এইচএসসি পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ ও রসায়নে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে এবং ইংরেজিতে ৩ গ্রেড পয়েন্টসহ উল্লিখিত বিষয়ে মোট গ্রেড পয়েন্ট কমপক্ষে ১৫.৫০ থাকতে হবে।
আবেদন ফি: ১০০০ টাকা।
আবেদন ও পরীক্ষার ফি জমা শুরু: ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে
আবেদন শেষ: আগামী ২০ মার্চ, বিকেল ৫টা পর্যন্ত
প্রবেশপত্র ডাইনলোড শুরু: আগামী ৪ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে।
প্রবেশপত্র ডাইনলোড শেষ: আগামী ১৯ এপ্রিল, রাত ১২টা পর্যন্ত। রঙিন প্রিন্ট নিতে হবে।
২০ এপ্রিল (শনিবার)। সকাল ১০টায় শুরু হবে পরীক্ষা। পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট।
গণিত ৬০, পদার্থবিজ্ঞান ৬০, রসায়ন ৬০, ইংরেজি ২০–সহ মোট ২০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। ১০০ প্রশ্নের প্রতিটির মান ২ করে। পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ৫ নম্বর করে কাটা যাবে।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে বস্ত্র অধিদপ্তর ও সকল কলেজের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে ফলাফলা প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীর মেধা ও পছন্দের ক্রম অনুযায়ী নির্বাচিতদের মেধা তালিকা কলেজভিত্তিক প্রকাশ করা হবে।