ইসলামি আন্দোলনের জন্য রাজনীতির মাঠ উম্মুখ হয়ে আছে বলে জানান ইসলামি আন্দোলন বংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমাদের নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে ওদের (সরকার) উচিত শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুব আন্দোলনের সারাদেশের কার্যক্রম নিয়ে আমরা খুশি। এখন সুযোগ আসছে, ইসলামি আন্দোলনের জন্য একটা মাঠ উম্মুখ হয়ে আছে। এই সময়ে যদি আমরা ভাল চাষ বাসের মাধ্যমে যদি ফসলকে ঘরে উঠাতে না পারি এটা আমাদের জন্য একটা দুঃখ, দুঃখই থেকে যাবে। এজন্য তোমাদের কাজ বাড়াতে হবে।
১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই পর্যন্ত কোন ব্যক্তি স্বার্থের জন্য, এমপিত্ত্বের জন্য, কোন পদ-পদবীর জন্য আমাদের নীতি আদর্শ বিক্রি করি নাই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছিলাম, এই দেশে ৯২ ভাগ মুসলমান বসবাস করে এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব করে আলেম ওলামারা। সুতরাং আপনাদের কথা এবং আচার-আচরণকে সেদিকে লক্ষ্য করে যদি চলেন তাহলে দেশ সুন্দর হবে।
বাংলাদেশ ৯২ ভাগ মুসলমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার মাধ্যমে একটা মানুষের ভাল-মন্দ বিচার করার যোগ্যতা তৈরি হয়। শিক্ষার মধ্যে ঢুকিয়ে দিলো ইসলামের ব্যাপারে, আলেমদের ব্যাপারে, তাদের অবদানের ব্যাপারে মিথ্যা ইতিহাস। এই ইতিহাসের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করার নীল নকশা তৈরি করেছে। ইসলামের ব্যাপারে বিদ্বেষ তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের পাঠ্যসূচি তৈরি করেছিলো।
বর্তমান সরকার যে শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছেন সেখানে একজনও ইসলামি স্কলার নেয়া হয়নি। সেখানে যাদের নেয়া হয়েছে অনেকেই বিতর্কিত, তাদের নাম বলবো না। এই কথাগুলো বলার কারণ হচ্ছে, ৫ আগস্ট স্বাধীনতায় বড় ভূমিকাতে ছিলাম আমরা। সেখানে কি আমাদের কোন মূল্যায়ন আছে? না থাকার কারণ কি? এখন পর্যন্ত তাদের চিন্তা চেতনা হলো আমাদের মাথায় রেখে বড়ই খাবে।