‘এ সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’ - দৈনিকশিক্ষা

‘এ সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

প্রখ্যাত সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, আগামীদিনে দুইটা নির্বাচন লাগবে। একটা হলো গণপরিষদ নির্বাচন। যেখানে আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে পারি। আরেকটা হলো সরকার নির্বাচন। রাষ্ট্র গঠনের নির্বাচন আগে। তারপরে আসবে সরকার নির্বাচন। এই রোডম্যাপ জনগণের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে দেওয়া হলো। এই রোডম্যাপ যদি না মানা হয় তাহলে ভয়ানক বিপদে পড়বো। তবে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত 'নতুন বাংলাদেশ বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, যখনই আমরা রাষ্ট্র গঠনের কথা চিন্তা করি তখন আমরা রাজনৈতিক দলের কথাও চিন্তা করি। রাজনৈতিক দল আমাদের দরকার। রাজনৈতিক দল ছাড়া আমাদের চলবেনা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো চায়, সে ক্ষমতায় যাবে ১৫ বছর ধরে লুটপাট করবে। এটাতো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। আগামীদিনে আমরা বাংলাদেশকে সুন্দর করে গঠন করবো; এমন একটি গঠনমূলক প্রস্তাবনা রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া দরকার। কিন্তু তারা কোনো প্রস্তাবনা দিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আজকে এতবড় একটি অভ্যুত্থান হয়ে গেছে। আমরা এত রক্ত দিলাম। কিন্তু আমরা দিনশেষে শেখ হাসিনারই সংবিধান পেলাম। এমনটা কি আমরা চেয়েছি! কি করে এই সংবিধান এখনো থাকে! যাদেরকে উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা মূলত প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা। আর এই প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনা নিয়োগ করে গিয়েছে। তাকে একজন ফ্যাসিস্ট নিয়োগ করেছে। উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণের সময় বলেছে আমরা সংবিধান সংরক্ষণ করবো। কিন্তু এই সংবিধানতো শেখ হাসিনার সংবিধান।

ফরহাদ মজহার বলেন, আমাদের যে ধরনের রাষ্ট্র গঠন করা প্রয়োজন আমরা '৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখনো পর্যন্ত করতে পারিনি। রাষ্ট্র গঠন করা হয় জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে। যারা আওয়ামী লীগের ডানহাত তাদেরকে দিয়ে আপনি কমিশন বানিয়েছেন। আপনি বলছেন কমিশন গঠন করেছেন। কিন্তু এর ভেতর কারা কারা রয়েছে সেটা আমরা জানি না। যে জনগণ এত আত্মত্যাগ দিয়েছে তাদের কোনো খবর নাই।

ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040900707244873