আওয়ামী লীগের ‘ক্ষমা পেয়েছেন’ সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেয়ায় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় যোগ দিয়েছিলেন এই সংসদ সদস্য।
সভায় তিনি সামনের সারিতেই উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমি ক্ষমার আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এখনো আমি চিঠি আনতে যাইনি। তিনি আরও বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করলে ওইদিন রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই দিনে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় মুরাদকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।