ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ আইনে সারাদেশে ৭ হাজার একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরপর্বে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে বিকাল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি একই বছরের ৮ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। এর তিন দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর এই আইনের অধীনে প্রথম মামলা দায়ের হয়।
মোকাব্বির খান তার প্রশ্নে ডিজিটাল আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী এই অংশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তরের কথা জানিয়ে বলেন, এই আইনে এখন পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতসমূহে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০টি এবং ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি ফৌজদারি মামলা।
আনিসুল হক জানান, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩ মামলা চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭১ হাজার ৬০৬ মামলা চলমান। সর্বনিম্ন খাগড়াছড়িতে ৬ হাজার ৬৩০ টি মামলা চলমান রয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।