দৈনিক শিক্ষাডটকম, বরিশাল : সমন্বিত উদ্যোগে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বক্তারা। শনিবার কেজি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বরিশালে ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ (ইউজিভি) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত দেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল বাকী এবং মূল বক্তা ছিলেন ইউজিভির ফিজিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রানোমি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফরিদ আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের (কলেজ) সহকারী পরিচালক ড. শামিম আহমেদ এর পরিচালনায় আরো যুক্ত ছিলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. লিয়াকত হোসেন, প্রফেসর ড. মো. ফরিদ আহমেদ, উপজেলা মাস্টার ট্রেইনার রিয়াজ রহমান, বেগম ইউজিভির ট্রেজার প্রফেসর ড. রাবেয়া, মাস্টার ট্রেইনার শিল্প ও সংস্কৃতি শেখর চন্দ্র মন্ডল। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
মথুরানাথ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, সরকারের এ পদ্ধতি শিক্ষকদের মাধ্যমে ফলপ্রসূ হবে।
ইসমাইল হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, এ পদ্ধতি প্রয়োগে শিক্ষা উপকরণ গুরুত্বপূর্ণ।
সেক্ষেত্রে গ্রাম পর্যায়ে শিক্ষা উপকরণ সংগ্রহ করতে পারবে কি না সেটা নিয়ে শঙ্কা থাকে।
নাসরিন জাহান চৌধুরী নামে এক অবিভাবক বলেন, ক্যারিকুলাম সহজ করে নিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তবে এর ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা আছে। স্মার্ট বোর্ড দরকার স্কুলে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী অবিভাবকদের সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্য অর্জন সম্ভব।
এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ হোসেন বলেন, গ্রাম পর্যায়ে সংকট রয়েছে। এটা থেকে যেভাবে হোক উত্তরণ ঘটালে আমরা পদ্ধতিকে সফল বলতে পারি।
ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. ইমরান চৌধুরী সকলকে সেমিনারে অংশীজন হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার জন্য বলেন এবং শিক্ষা সহায়িকা পড়ে বোঝার অনুরোধ করেন।
ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল বাকী বলেন, সরকারের পক্ষে একা এটা করা সম্ভব নয়, তাই সামাজিক দায়িত্ব থেকে আমাদের এ আয়োজন। এককভাবে নতুন শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব না। আমরা শ্রম দেবো, এর ফল উপভোগ করবো সবাই মিলে। আগামীতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।