দেশে ব্যবসা করা সরকারি ও বেসরকারি সব জীবন বিমা কোম্পানিকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্পনাটি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বিমা কর্পোরেশনের মাধ্যমে এক বছর পাইলটিং করার পর এ বিমা পরিকল্পনাটি সব কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করা হলো।
সম্প্রতি আইডিআরএ থেকে জীবন বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পাশাপাশি সব জীবন বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনার চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে সই করেছেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারি। চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ প্রবর্তন করা হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বিমা করপোরেশনের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক, কারিগরি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বিমার আওতাভুক্ত করে পরিকল্পনাটির পাইলটিং করা হয়।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকমে ভর্তি বিজ্ঞাপন দিন ৩০ শতাংশ ছাড়ে
আইডিআরএ’র তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’র আওতায় ৩-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বছরে ৮৫ টাকার প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাভুক্ত করা হয়েছে।
অভিভাবকের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু বা নির্দিষ্ট কিছু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মাসিক ৫০০ টাকা হারে শিক্ষার্থীদের ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষা বিমা সুবিধা দেয়া হয়। আইডিআরএ জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা পরিকল্পনাটি কাক্সিক্ষত শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে এবং এর মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলার ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বিমা পরিকল্পনাটির আওতায় বিমাভুক্ত হয়েছে। জীবন বিমা করপোরেশন থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এখনো পর্যন্ত সাতটি বিমা দাবি উত্থাপিত হয়েছে। অর্থাৎ ব্যবসায়িক দিক দিয়েও পরিকল্পনাটি লাভজনক হচ্ছে।
বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন চলমান রাখা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের ঝরে পড়া রোধে এ সাফল্যকে অব্যাহত রাখার জন্য ‘ বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্পনাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রচলন করা আবশ্যক।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা পরিকল্পনাটির বিক্রির তথ্য নির্ধারিত ছকে প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে আইডিআরএর কাছে জমা দেয়ার নির্দেশের পাশাপাশি পরিকল্পনাটি চালু করে ব্যাপকভাবে বাজারজাতকরণ করতে জীবন বিমা কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।