দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত শনিবার ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) সিভাসু’র শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য দিনব্যাপী ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন ও প্রমাণক সংরক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক সেমিনার এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক পৃথক তিনটি কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্য দেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান।
অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিভাসু’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: কামাল। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. গউজ মিয়া।
ড. মো আবু তাহের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেন গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা করতে হবে। দক্ষ ও স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে হবে। তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে।
ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বলেন, বর্তমান সরকার আগামী ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে দিনব্যাপী টেকনিক্যাল সেশনগুলোতে রিসোর্স পারসন ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক। এ ছাড়া সিভাসু’র বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তারা টেকনিক্যাল সেশনগুলোতে অংশগ্রহণ করেন।