সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রত্যাহারের দাবিতে টানা দশম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার (১০ জুলাই) ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষক ও কর্মকার্তারা।
এদিন, বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের মিছিল নিয়ে দলে দলে জমায়েত হতে দেখা যায়।
পরে দুপুর ১২টায় যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, আমাদের এ দাবি অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অবাধ হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে। এ সমস্যা শিক্ষকেরা তৈরি করেননি।
এ সমস্যা যারা তৈরি করেছে তাদের এ দায়ভার নিতে হবে। আমাদের যদি আশ্বাস দেয়া হয় তাহলে আমরা অবশ্যই ক্লাসে ফিরে যাবো। আমাদের সব মেকানিজম জানা আছে কীভাবে এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে হয়, যোগ করেন তিনি।
এ সময় কোটা ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না৷ কোটা সংস্কারের পক্ষে যারা আন্দোলন জরছে তারাও শিক্ষার্থী যারা এর বিপক্ষে আন্দোলন করছে তারাও শিক্ষার্থী। তা ছাড়া, এটা যেহেতু হাইকোর্টে বিচারাধীন বিষয় আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।