সচিবালয়ের সঙ্গে পদবি ও বেতন বৈষম্য নিরসনে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শিক্ষা ভবনে এ বিষয়ে ঢাকার কর্মচারী সমিতির কার্যালয়ে সংগঠনের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের সংগঠনের প্রতিনিধিরা, প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী, সমপদ ও উক্ত পদের ফিডার পদের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের মহাসচিব জনাব আবু নাসির খান বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভেতরে ও বাহিরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী বিভিন্ন পদের পদবি ও বেতন স্কেল এক ও অভিন্ন হওয়া সত্তেও তৎকালীন সরকার ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রজ্ঞাপন জারি করে শুধুমাত্র সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো আপগ্রেড করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ ১০ নং গ্রেডে উন্নীত করে। ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, গণভবন, বঙ্গ ভবনে বর্ণিত পদগুলোও আপগ্রেড করা হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য দপ্তরের বর্ণিত পদগুলো অদ্যাবধি পূর্বের ন্যায় রয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে তারা এই পদবি বৈষম্যের অবসান চান।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে সরকার উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারীর সমস্কেল ও নিম্ন স্কেলের কর্মচারীদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্লক সুপার ভাইজার, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, পুলিশের এসআই, নার্স, অডিটর ও খাদ্য পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদসমূহ ২য় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করা হলেও অন্যান্য দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের সম্পদসমূহ উন্নীত না করায় দীর্ঘ ২৭ বছর তারা বঞ্চিত রয়েছে।
এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২ ও ৩৩ তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও ৮ম জাতীয় পে-কমিশনের সুপারিশ রয়েছে, যোগ করেন তিনি।
সভায় অন্যান্য নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. বেল্লাল হোসেন, লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সঞ্জয় বনিক, ইসলাম খান, আশিকুর রহমান, মামুন অর রশিদ, জামাল হোসেন, মো. মাসুদসহ খান প্রমুখ।