ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেছেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না। আর অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না। আর অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হবে। উচ্চতর কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরো পড়ুন : ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ
এর আগে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে কলেজ প্রাঙ্গণে আন্দোলন করবেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের আদর করার নামে যৌন হয়রানি করতেন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আজিমপুর শাখা শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকার।
আরো পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ বরখাস্ত
শিক্ষার্থীদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুরাদ হোসেন সরকার আজিমপুর শাখায় তার অধীনের ছাত্রীদের বাবার মতো ব্যক্তি হিসেবে, আদর করার নামে যৌন হয়রানি করেছে এবং এই কুৎসিত কর্মের শাস্তি হিসেবে বহিষ্কার না করে, হজ করে আসায় তার অপরাধকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে। শুধু শাখাপ্রধানের মনিটরিং বাড়িয়ে দিলেই আমাদের পক্ষে স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে এমন নিকৃষ্ট মানুষের সাথে থেকে নিরাপদ অনুভব করা সম্ভব নয়। আমরা অপরাধের সুষ্ঠু বিচার চাই।
মুরাদের বিচারের দাবিতে কলেজ প্রাঙ্গণের এক নম্বর গেটে আন্দোলন করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির মামলায় মুরাদ হোসেন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, সোমবার রাতে এক ছাত্রীর করা যৌন নির্যাতনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজই তাকে আদালতে তোলা হবে।
মুরাদ আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠার পর শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে প্রত্যাহারের পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীর স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে বলা হয়, মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এবং এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ওই শিক্ষককে আজ থেকে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।