দৈনিক শিক্ষাডটকম, জলঢাকা (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় ভুয়া কাগজ তৈরি করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় সাধারণ রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগের জন্য গতবছরের ১২ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তির দুই নম্বর শর্তে প্রার্থীকে রিসোর্স সেন্টার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং তার আবাসস্থল রিসোর্স সেন্টারের দুই বর্গকিলোমিটারের মধ্যে হওয়ার কথা বলা হলেও কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া রিসোর্স সেন্টার থেকে ৮/৯ বর্গকিলোমিটার দূরের বাসিন্দা আব্দুল আলীম শেখ নামে ভুয়া কাগজ তৈরি করা ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তসাপেক্ষে এ নিয়োগ বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন রিসোর্স সেন্টারের স্থায়ী বাসিন্দারা।
অভিযোগ উঠেছে সদ্য নিয়োগ পাওয়া সাধারণ কেয়ারটেকার আব্দুল আলীম শেখের দাওরা পাসের সদনটিও ভুয়া। আব্দুল আলীম শেখ ‘আব্দুল হক’ নামে গোলনা ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া জামে মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কেয়ারটেকার নিয়োগ আসতেই তার নাম পরিবর্তন হয়ে কিভাবে আব্দুল আলীম শেখ হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, জালিয়াতি করে নিয়োগ পেতে মূলত আব্দুল হকের নাম পরিবর্তন করে আব্দুল আলীম শেখ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া কেয়ারটেকার আব্দুল আলীম শেখ মুঠোফোনে আমাদের বার্তাকে বলেন, আমার কাগজপত্রে অস্থায়ী বাসিন্দা লেখা থাকার পরও কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে দাওরা পাসের সনদের বিষয়ে জানতে চাইলে তাজু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন তিনি।
জলঢাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ ইদ্রিস আলী বলেন, আমি প্রথমে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় গিয়ে দেখতে পাই আব্দুল আলীম শেখ একটি বাসায় বসবাস করেন, কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি তিনি ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।
স্থায়ী বাসিন্দার বিষয়ে জানতে চাইলে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জানান, আব্দুল আলীম শেখ, পিতা- মনছের আলী শেখ, এই নামের ব্যক্তি আমার ওয়ার্ডের ভোটার বা স্থায়ী বাসিন্দা নয়, তিনি কলেজপাড়া এলাকায় একটি বাসায় অস্থায়ী ভাড়া থাকেন। আমি তাকে অস্থায়ী বাসিন্দা উল্লেখ করেই প্রত্যায়ন দিয়েছি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বজলুর রশীদ বলেন, জেলা পর্যায়ে গঠিত নিয়োগ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আমরা চূড়ান্ত নিয়োগ দিয়ে থাকি, যদি কেউ মিথ্যা তথ্য বা জালিয়াতি করে চাকরি নিয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।