সরদার ফজলুল করিম একটি নাম। আর এ নামের মধ্যেই রয়েছে অনেক বিশেষণ। একজন সরদার ফজলুল করিম খেকে কীভাবে লেখক, দার্শনিক, চিন্তাবিদ ও অধ্যাপক সরদার ফজলুল হয়ে উঠলেন সে এক বিস্ময়। তিনি বাঙালি চিন্তাবিদদের চিন্তার খোরাক যুগিয়ে গেছেন আমৃত্যু। তার প্রতিটি কথাই পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠে একেকটি দর্শন।
এ মহান দার্শনিকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ চিন্তাবিদের এক জীবনের অবসান হয়। কিন্তু মৃত্য যে তার জীবনকে থামাতে পারেনি তা তার কথাতেই প্রমাণিত। মৃত্যু, মৃত্যুদিন নিয়ে ছিলো এ দার্শনিকের অন্যরকম এক দর্শন। তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষের মৃত্যুদিন হচ্ছে তার সত্যিকারের জন্মদিন। কারণ, জন্ম থেকে শুরু হওয়া সার্কিটটা সম্পূর্ণ হয় মৃত্যুতে এসে। মৃত্যুর পর একজন মানুষের পুরো পোট্রেটটা সামনে দৃশ্যমান হয়, তাই মৃত্যুই তার আসল জন্মদিন।’
প্রখ্যাত এ দার্শনিক-শিক্ষাবিদ এবং পরে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান পাওয়া সরদার ফজলুল করিমের আজ ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। সরদার ফজলুল করিম ছিলেন শিক্ষকদের শিক্ষক। এ গুণী শিক্ষকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হলো ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তখন অনেক গুণী শিক্ষক তার জীবন-কর্ম সম্পর্কে যেসব কথা বলেছিলেন তা এ দার্শনিককে কিছুটা বুঝতে সহায়ক। সরদার ফজলুল করিমের জীবন ও কর্ম নিয়ে বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ এবং অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মতো গুণী শিক্ষকরাও সরদার ফজলুল করিমের জীবন দর্শনের নানা দিক তুলে ধরে তার প্রশংসা করেন।
প্রথিতযশা এই দার্শনিকের জন্ম নিম্ন-মধ্যবিত্ত নিরক্ষর কৃষক পরিবারে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে। ভাই-বোনের মধ্যে চতুর্থ সরদার ফজলুল করিম ছোটবেলায় আক্ষরিক অর্থেই কৃষিকাজ করেছেন বাবার অনুগত সন্তান হিসেবে। লাঙল ধরেছেন বাবার সঙ্গে, কিংবা মইতে চড়েছেন কৃষি জমির মাটি ভাঙার কাজে। এখানেও তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। তার জীবনের সবচেয়ে বড় দিকে হলো তিনি যখন যেটা করেছেন তা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে করেছেন। কাঠকয়লার গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে তৈরি কালি বাঁশের কঞ্চিতে লাগিয়ে শুকনো তালপাতায় অ-আ-ক-খ’র হাতেখড়ি হয়েছিলো তার এক পঙ্গু শিক্ষক লেহাজ উদ্দিন আহমদের কাছে, যিনি তার দূরসম্পর্কের মামা হতেন। বড়ভাই মঞ্জে আলী সরদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েও এমএ ডিগ্রী শেষ না করেই চাকরি নিয়েছিলেন সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে। ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন স্কুল শেষে ক্লাস নাইনে এসে ভর্তি হন বরিশাল জিলা স্কুলে। সেখানে থাকতেন হোস্টেলে।
সেখানেও তিনি ছিলেন অন্যনকম। সন্ধ্যায় হোস্টেলের আলো নিভে গেলে চুপি চুপি চলে যেতেন কীর্তনখোলার পাড়ে। বরিশাল নদী বন্দরের টিম টিমে গ্যাসের আলোয় পড়বেন বলে। জ্ঞান অর্জনের অদম্য ইচ্ছাশক্তি তার তখন থেকেই। কুলি সর্দারের হাঁকডাক আর প্রতিপত্তিতে এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছিলেন বড় হয়ে কুলি সর্দার হবেন তিনি! মজার ব্যাপার হলো তিনি কিন্তু সেখানে একাডেমিক বই পড়তে যেতেন না। লুকিয়ে লুকিয়ে লাল-নীল ইস্তেহার পড়তেন। আর এই লাল নীল ইস্তেহার সাপ্লাই দিতেন ‘Revolutionary Socialist Party of India (RSPI) এর এক সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী মোজাম্মেল হক। যার কাছ থেকে তিনি পড়েছেন শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবি’। এসব বই পড়ে তিনি উজ্জীবিত হয়েছেন, প্রভাবিত হয়েছেন নানভাবে। বলে রাখা ভালো এসব বই পড়াটা সহজ ছিলো না। তখন এসব ছিলো নিষিদ্ধ বই। চারিদিকে ব্রিটিশ চর ঘুরে বেড়ায়। বইগুলোর চারপাশটা এমনভাবে কাটা থাকতো যেনো কোথাও লেখা না থাকে বইয়ের নাম। আর এভাবেই জড়িয়ে পড়েন প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।
সরদার ফজলুল করিম ১৯৪০ খিষ্টাব্দে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন প্রথম বিভাগে। সে বছর মেট্রিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। তার বড়ভাই মঞ্জে আলী সরদারের ইচ্ছে মতো ভর্তি হন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে। সেখান থেকে তিনি আইএ পাস করেন। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে তিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন। এর আগে কোনো মুসলিম ছাত্র এই অঞ্চলে এতো ভালো করেননি। বর্তমানে ফজলুল হক হল ছিলো তখন ইন্টারমিডিয়েট কলেজের হোস্টেল। সরদার ফজলুল করিম সেখানেই থাকতেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। তাও বড়ভাইয়ের ইচ্ছেতেই। বলে রাখা ভালো সরদার ফজলুল করিমের জীবনে তার বড়ভাইয়ের প্রভাব ছিলো বেশ। তার বড়ভাইও ছিলেন এই ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। এজন্য কিছুটা জানাশোনা ছিলো। কিন্তু করিডোর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দর্শন বিভাগের বিখ্যাত অধ্যাপক হরিদাস ভট্টাচার্যের বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হয়ে বিভাগ পরিবর্তন করে ভর্তি হয়ে যান দর্শনে। এখানেও অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দেন তিনি। অনার্স এবং মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হবার পর স্কলারশিপের অফার আসে বিলেত থেকে এবং এটি দর্শনের জন্য বরাদ্দ ছিলো। তারচেয়েও বড় হলো এ স্কলারশিপের অফার শুধু মুসলিম ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ ছিলো। শুধু কোলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে গিয়ে ইন্টারভিউতে উপস্থিত হতে হবে। সরদার ফজলুল করিম কোলকাতা গেলেন। কিন্তু প্রথমে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে না গিয়ে গেলেন কমিউনিস্ট পার্টির হেড কোয়াটারে। সেখানে মুজাফফর আহমেদ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী প্রমুখের সামনে সরদার হাসতে হাসতে বললেন ‘আমি তো বিলেত যাচ্ছি’। জবাবে হাসতে হাসতে তারা বলেন ‘আপনি বিলেত যাবেন আর আমরা এখানে বসে বসে ভেরেণ্ডা ভাজবো?’ সরদার ফজলুল করিম বলেন, ‘আমাকে কী করতে হবে?’ ‘কাঁথা কম্বল নিয়ে পার্টি অফিসে চলে আসেন, বোঝেন না কি করতে হবে?’ পার্টি নেতাদের উত্তর।
যে কথা সেই কাজ। সরদার আর ইন্টারভিউ দিতে গেলেন না। ছিঁড়ে ফেললেন ইন্টারভিউ লেটার। কাজ শুরু করলেন পার্টির হয়ে। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে সেই ডাকসাইটে অধ্যাপক হরিদাস ভট্টাচার্য্য বললেন ‘তুমি কাল থেকে ক্লাস নাও বিভাগে’। যোগ দিলেন দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে। শুরু শিক্ষকতার জীবন। কিন্তু ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর মুসলিম কমিউনিস্টদের পুলিশ খোঁজা শুরু করলে পুলিশের খাতায় নাম ওঠে তার। পার্টি নেতারা বলেন ‘তুমি তো চাকরি করে কাজ করতে পারবে না। পুলিশ তোমাকে খোঁজ করছে। চাকরি ছেড়ে দাও’। আবার একই কাজ। বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত করলেন। বিভাগীয় প্রধান ওটা দেখে চোখ কপালে তুলে বলেন ‘হোয়াট ডু ইউ মিন বাই ইট’? সরদার বললেন, ‘স্যার একটা ডিসিশন হয়ে গেছে। এটা আর বদলানো যাবে না’। সেই হরিদাস বাবু, যার লেকচার শুনে সরদার ফজলুল করিম দর্শনে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন ‘আই হ্যাভ নেভার সিন এ বয় লাইক হিম’। তিনি একটু অন্যনকম মানুষ। মানে সবার থেকে আলাদা, একটু অন্য পথে হাঁটেন। যতো সহজে শিক্ষকতায় যুক্ত হয়েছিলেন তারচেয়ে সহজে সেটি ছেড়ে দিলেন।
এবার আশ্রয় হয় এক ছোট বোনের বাসায়। সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। সেখানে এসে উপস্থিত হন সরদারের বৃদ্ধ বাবা আর বড় ভাই। তারা তাকে স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধকরে নিয়ে যেতে চান বরিশাল। কিন্তু তিনি জানেন, সেটা হবে না। সদরঘাটে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আছেন। তাকে ধরে ফেলবেন। আঘাত পাবেন প্রিয় বাবা আর বড় ভাই। তাই তিনি কৌশলে বাবা-ভাইয়ের হাত থেকেও পালান। পরে ১৯৪৮ এর মাঝামাঝি থেকে চলে যান আত্মগোপনে। শুরুতে ফজলুল হক হলে থাকার একটা চেষ্টা করলেও মুসলিম লীগের ছেলেরা এসে বের করে দেন হল থেকে। তিনি দলকে আশ্রয় দিতে বলেন। কিন্তু দলেন তখন গণভিত্তি দুর্বল ছিলো। ডাকসাইটে হিন্দু কমিউনিস্টরা ভারতে চলে যাওয়ায় কর্মী সংকট ছিলো প্রকট। আশ্রয় দেয়ার মতো যায়গা ছিলো না, অবস্থাও ছিলো না। ফলে পার্টির পরামর্শে পাবনা-ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করেন সরদার ফজলুল করিম। কলকাতায় প্রবেশের পর সরদার নিজেকে নিরাপদ ভাবতে শুরু করেন। ফ্রি-স্টাইল চলা শুরু করেন। আশ্রয় নেন রিফিউজিদের কাছে। কিন্তু এই রিফিউজিদের অবস্থা ছিলো খুবই করুণ। নিজেদের ভাগ্যই দোদুল্যমান। ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে যায় দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার তৎকালীন সাহিত্য সম্পাদক কবি আহসান হাবিবের সঙ্গে। পরে তার বাসায় উঠে পড়েন। কিন্তু সরদার ফজলুল করিম জানতেন না গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর বাতাসের আগে পৌঁছে যায়। একদিন শেষ রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ এসে হাজির। সরদার ফজলুল করিমকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে জিজ্ঞেস করলেন-নাম কী’? উত্তর দিলেন, ‘আমার নাম ফজলুল করিম।‘আপনি কী করেন?’ কলেজে পড়ি’। কী পড়েন, কোথায় পড়েন’ ‘আমি চাখার কলেজে পড়ি। বিএ পরীক্ষা দিয়েছিলাম গতবার, পাস করতে পারিনি। এবার আবার দেবো। এখানে কেন এসেছেন? ‘বেড়াতে’। এরপর পুলিশ নিজেদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা বলে। ‘নো নো, নট দিজ ওয়ান। সাম বিগ গাই। সাম বিগ সরদার ফ্রম ইস্ট বেঙ্গল’। পুলিশ এই সরদারকে পছন্দ করলো না। তারা চলে গেলেন। তিনিও সটকে পড়লেন ওই বাসা থেকে। চলে এলেন ইস্ট বেঙ্গলে। খামখেয়ালি এক মানুষ যা ভাবতেন, তাই করতেন। তেমন বাছবিচার ছিলো না।
পরবর্তীকালে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নরসিংদী থেকে গ্রেফতার হন। সেই গ্রেফতার হওয়া সরদার ফজলুল করিম মুক্তি পান ১৯৫৫ সালে। টানা ছয় বছর জেলের জীবন। ভাগ্য তার ভালো বলতে হয়। জেলে বসেই নির্বাচিত হয়েছিলেন পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য। এরপর আবার গ্রেফতার হন, মুক্তিও পান। এভাবে একদশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন জেলে।
জীবনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন অনেক। আমৃত্যু ধারণ করেছেন কমিউনিস্ট চেতনা, যদিও শেষদিকে এসে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, কিন্তু আদর্শ থেকে নড়েননি একচুল। আদর্শের জন্য তিনি লোভনীয় স্কলারশিপের চিঠি ছিঁড়ে ফেলতে পারেন অবলীলায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়েদেন এক কথায়। মোদ্দাকথা আদর্শ ছাড়া অন্য কিছুকে কখনো তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি।
সমসাময়িক গার্মেন্টস শ্রমিক প্রসঙ্গে একবার বলেছিলেন, ‘এক সময়ের অবরোধবাসিনী এ সময়ের গার্মেন্ট শ্রমিক। তারা প্রতিদিন ভোরে ওঠেন রাজপথ ধরে কাজে যান। তারা শ্রমিক। তাদের শ্রমে দেশ ও অর্থনীতি চলে। ফলে আমি বলি, রাজপথে গার্মেন্ট শ্রমিক হাঁটেন মানে, প্রতিদিন সকালে বিপ্লব হেঁটে যায়।’ দর্শন শাস্ত্রের মতো নীরস বইকে তিনি সাবলীলভাবে অনুবাদ করেছেন পাঠকের জন্য। দর্শনের অনুবাদ ছাড়াও বিভিন্ন সমসাময়িক কিংবা ইতিহাস নিয়েও লেখালেখি করেছেন। লিখে গিয়েছেন অনন্যসাধারণ স্মৃতিচারণ।
সরদার ফজলুল করিম সারা জীবনই গণমানুষের হতে চেয়েছেন, তাদের কথা বলতে চেয়েছেন, থাকতে চেয়েছেন সাধারণভাবে, সে চর্চাও করেছেন জীবনের প্রতিটি কাজে। একবার এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘৪৮ বছর ঢাকা শহরে আছি, ঢাকা শহর আমার হয়নি, আমিও ঢাকা শহরের হতে পারিনি।’ গণমানুষের হতে চাওয়া, গণমানুষের মতো হতে চাওয়া এ বরেণ্য দার্শনিক, শিক্ষাবিদ তার রেখে যাওয়া কর্ম ও দর্শনের মাধ্যমে এ দেশের চিন্তাবিদদের মননে বেঁচে থাকবেন আজীবন।
লেখক : এম মাহবুব আলম, যুগ্ন বার্তা সম্পাদক, দৈনিক আমাদের বার্তা