মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে। এতে শিক্ষকদেরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্মার্ট করতে শিক্ষকদেরকেই আগে স্মার্ট হতে হবে। আগামীতে দেশ ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবে। এটি শিক্ষার্থীদের বুঝাতে হবে।
গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার কারিগর। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে আগে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু ভালো ফল অর্জন করালে চলবে না, মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণের জন্য চেষ্টা করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ এর আগে ই-স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকসহ সব শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সবুজ মৃধার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গাজী আতহার উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন মৃধা, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জুয়েল ব্যাপারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েলসহ অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার ১৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন প্রধান অতিথি।