রাজশাহীতে একটি হাফেজিয়া মাদরাসায় তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে ওই মাদরাসার এক শিক্ষকের অবৈধ সম্পর্কের জেরে ছাত্রদের অবরুদ্ধ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় মাদরাসার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। শুক্রবার বিকেলে ওই মাদরাসার সভাপতি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রবিউল ইসলাম রবি। তিনি রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার খোজাপুর এলাকায় অবস্থিত রিয়াজুল জান্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।
সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি এলাকার এক নারীর সঙ্গে রবিউল ইসলাম রবির অবৈধ সম্পর্ক আছে। মোবাইলে আবার সেই ছবিও ওঠানো আছে। সেটা সাজানো ঘটনা নাকি সত্য ঘটনা জানি না। কিন্তু এলাকার মানুষ বলছে ঘটনার বিচার করতে হবে, রবি অসামাজিক লোক।
তিনি বলেন, আমি তাকে চলতি মাসের ৭ তারিখে (৭ জুলাই) বিদায় করে দিলাম। পরে যে এলাকার (ধরমপুর পূর্বপাড়া) মেয়ে সেখানকার লোকজন কী করেছে আমি আর জানি না। সেখানকার যুবকরা বলছিল রবির বিচার চাই, তাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এরমধ্যেই গত রাতে কে বা কারা মাদরাসায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে সেটাও জানি না। পাশেই যে গোরস্থান আছে সেখানেও তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ এসে আমাকে তাদের সামনে তালা ভাঙতে বলে। আমি বলেছি, তালাটা ভাঙতে যাবো, প্রতিপক্ষরা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে মারধর বা মার্ডার হয়ে যায় তখনতো ফেঁসে যাবো। যেহেতু সিটি করপোরেশন গোরস্থান করেছে, তালা ভাঙার দায়িত্ব তাদের। না হলে ওয়ার্ড কমিশনারের। আপনারা দেখেন আমি পারবো না।
তবে ওই মাদরাসায় লাগানো তালা খুলে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, আমিতো জানি তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। আর এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।
তালা লাগানোর কারণ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ওদেরই মধ্যে কী একটা ঝামেলা চলছিল, এখনও কেউ কিছু বলছে না, অভিযোগও দেয়নি। ওদের মধ্যে কমিটি কেন্দ্রিক ঝামেলা থাকতে পারে। অভিযোগ পেলে ভালোভাবে জানা যেতো।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানাকে একাধিকবার ফোন করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম রবির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।