বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, "এক পক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের দুইজন বিচারপতির বেঞ্চ"।
আদেশে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে হবে। বিচারপতিদ্বয়ের এই আদেশ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে । হাইকোর্টের বিচারপতিদ্বয় তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে বিটিআরসিকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা শেখ হাসিনার মনের ইচ্ছা ও তাঁকে খুশি করার জন্যই দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতির কাছে অন্য আদালতে এই রিটটি বদলির জন্য আবেদন করা হলেও সেটিকে গ্রাহ্য না করে আদালতের আদেশ দেওয়া সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচারকে পদদলিত করা। আদালতের এ ধরনের আদেশের নামে নিকৃষ্ট প্রহসন করা হয়েছে। বিচারপতিদের এই আদেশ শেখ হাসিনার আমলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আর বিন্দুমাত্র আস্থা রইল না।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার যেহেতু বিরোধী দলের কন্ঠস্বরকে চেপে রাখতে চায় সে কারণেই আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের রাজনীতিকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল আদালত এখন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুর্বৃত্তদের শেষ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। আমি দলের পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আজ হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতির আদেশের তীবধ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।