স্কুল যাওয়ার পথে হৃদরোগে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু | স্কুল নিউজ

স্কুল যাওয়ার পথে হৃদরোগে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেছেন, শ্রী-এর মতো অল্পবয়সী মেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তারা হতবাক হয়েছেন। তার মৃতদেহ নিজ শহরে পাঠানো হয়েছে।

#শিক্ষার্থী

ভারতের তেলেঙ্গানার কামারেড্ডি জেলায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্কুল যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৬ বছর বয়সী শ্রী নিধি রামারেড্ডি মণ্ডলের সিঙ্গারায়াপল্লী গ্রামের বাসিন্দা। বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য কামারেড্ডিতে থাকতেন শ্রী।

ওই স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্কুলের কাছেই তার বুকে ব্যথা হয় এবং লুটিয়ে পড়ে। এরপর স্কুলের এক শিক্ষক তার অবস্থা লক্ষ্য করে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যান।

চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) সহ তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে সে সাড়া না দেওয়ায় তাকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি, দ্বিতীয় হাসপাতালে শ্রীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেছেন, শ্রী-এর মতো অল্পবয়সী মেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তারা হতবাক হয়েছেন। তার মৃতদেহ নিজ শহরে পাঠানো হয়েছে।

এর আগেও আলিগড়ের সিরৌলি গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মোহিত চৌধুরী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোর বার্ষিক ক্রীড়া দিবস প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অনুশীলনে চলাকালীন সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

এ ছাড়া কিছুদিন আগে একই জেলার আট বছর বয়সী দীক্ষা নামে আরেক শিশু তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম রাব্বানী বলেন, গত দুই বছরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়েছে। তিনি বলেন, যদি কোনও সুস্থ ব্যক্তি এক ঘণ্টার মধ্যে মারা যান, তবে তাকে হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলা হয়। যদি কোনও শিশু শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথার অভিযোগ করে, তবে তার অবিলম্বে পরীক্ষা করা উচিত।

#শিক্ষার্থী